বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফরে ঘুম হারাম সংশ্লিষ্টদের

বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমের ঢাকা সফর ঘিরে সংশ্লিষ্টদের ঘুম হারাম হয়ে সফরকে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে রাত দিন কাজ করছেন। মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) দুর্গা পূজার ও বুধবার (১২ অক্টোবর) আশুরার দু’দিনের সরকারি ছুটি বাতিল করা হয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) বিশ্বব্যাংক উইং এর কর্মকর্তাদের।

ইআরডির দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, এটি হাই লেবেল ভিজিট। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ঢাকা সফর শেষে যতক্ষণ পর্যন্ত না ভালোভাবে বিমানে উঠছেন ততক্ষণ আমরা টেনশনে থাকবো। তাঁর এ সফর সফল করতে যা যা উদ্যোগ নেওয়া দরকার তার সবই করা হচ্ছে। আমাদের পক্ষ থেকে কোন ফাঁক রাখা হবে না।

ইআরডি সূত্র জানায়, বিশ্ব দারিদ্র্য মুক্ত দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ১৬ অক্টোবর রাতে ঢাকায় আসছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। এটি হবে তার প্রথম বাংলাদেশ সফর। ১৮ অক্টোবর রাতে তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) ইআরডিতে সরেজমিনে দেখা যায়, কর্মব্যস্ত রয়েছেন বিশ্বব্যাংক উইং এর কর্মকর্তারা। সবাই সময় মতোই অফিসে এসেছেন। বিশ্বব্যাংক কার্যালয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগসহ প্রেসিডেন্টের সফরকেন্দ্রিক বিভিন্ন কার্যক্রম করছেন তারা।

ইআরডি সূত্র জানায়, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুই কারণে। একটি বাংলাদেশের ব্রান্ডিং ও দারিদ্র্য বিমোচনে সাফল্য। অন্যটি হচ্ছে, পদ্মা সেতু প্রকল্প ঘিরে যে সম্পর্কের ফাটল ধরেছিল, সেটি যে এখন জোড়া লেগেছে তা বিশ্ববাসীর সামনে ফুটে উঠবে তাঁর এ সফরের মধ্য দিয়ে। তবে এই সফরে কোন ঋণ চুক্তি বা কোন প্রকল্পের জন্য অর্থ চাওয়ার কোন বিষয় থাকবে না।

সূত্র জানায়, সফরকালে জিম ইয়ং কিম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে সাক্ষাত, ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দারিদ্র্য বিমোচন সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ এবং বরিশালে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়িতব্য কয়েকটি প্রকল্প পরিদর্শন করবেন। এছাড়া তিনি বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্স কর্পোরেশনের (আইএফসি) আয়োজনে একটি অনুষ্ঠান এবং সাংবাদিকদের ব্রিফিং করবেন তিনি।

ইতিমধ্যেই অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্টের সফর সংক্রান্ত নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়েছে। এ বৈঠকে প্রেসিডেন্টের সফরকে নির্বিঘ্ন করতে থাকার হোটেল থেকে শুরু করে বরিশাল পর্যন্ত বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়াসহ প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ওই বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, পুলিশ, র‌্যাবসহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ফায়ার সার্ভিস, গণপূর্ত, ট্রাফিক ও বিদ্যুৎ বিভাগসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই