বিশ্বের প্রথম বনসম্পদ ধ্বংস সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলো এই দেশে

ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হওয়া সত্ত্বেও সুন্দরবনকে যখন চোরাশিকারিদের হাত থেকে রক্ষা করা যাচ্ছে না, একের পর এক কাঠ পাচারকারী গাছ কেটে বন নষ্ট করছে তখন এককথায় নিঃশব্দে বিপ্লবই ঘটিয়ে ফেলল নরওয়ে।

সোমবার নরওয়েজিয়ান পার্লাংমেন্ট সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে দেশের কোথাও কোনও বনাঞ্চল আর কাটা হবে না। কোপ পড়বে না একটি গাছেও। উদ্দেশ্য, পরিবেশকে ‘কার্বন নিউট্রাল’ অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। এ জন্য ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্র ঠিক করা হয়েছে। এদিন ঘোষণা করা হয়, বনাঞ্চল রক্ষা করে ২০৩০ সালের মধ্যে বাতাসের কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানো হবে।

নরওয়ের আগে পৃথিবীর আর কোনও দেশ এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।

দেশের বনাঞ্চল রক্ষা করতে নরওয়ের রেনফরেস্ট ফাউন্ডেশন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অনেক দিন ধরেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। নরওয়েজিয়ান সরকারের কাছেও তারা বারবার একই আর্জি জানিয়ে আসছিল। ফলে, এদিনের সরকারি ঘোষণায় খুশি সংগঠনটি।

প্রসঙ্গত, কাঠের আসবাব সহ-নানা প্রয়োজনে সাতটি দেশে ৪০% বনাঞ্চল ধ্বংস হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই