বিশ্বের বিখ্যাত কিছু গিরিখাত

গিরিখাত বা গিরিসংকট হচ্ছে খাঁড়া বাঁধ বা পর্বত শিখরের মধ্যকার গভীর পানির স্রোত যা সাধারণত নদীর সক্রিয়তার জন্য সৃষ্টি হয়। কারণ প্রাকৃতিকভাবে নদী যেদিক দিয়ে প্রবাহিত হয় তা কেটে ফেলে বা ভেঙ্গে ফেলে। এভাবেই শিলার অভ্যন্তর স্তর ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। প্রধানত দুই ধরণের গিরিখাত আছে যেমন- ওয়াইড বক্স ক্যানিয়ন ও ন্যারো স্লট ক্যানিয়ন। পৃথিবীর বিখ্যাত কিছু গিরিখাতের কথা জেনে নেই আসুন।

১। গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন
আমেরিকার দক্ষিণ অ্যারিজোনাতে এই গিরিখাতটি অবস্থিত। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে আশ্চর্যজনক গিরিখাতগুলোর একটি। হাজার বছর ধরে কলোরাডো নদীর ক্ষয়কর্ম দ্বারা এই গিরিখাতের গঠিত হয়েছে। এটি ১.৬ কিলোমিটার গভীর ও ৪৪৬ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই গিরিসংকটের গভীরতা, জটিল প্রাকৃতিক দৃশ্য ও রঙের বিভিন্নতা পর্যটকদের আকর্ষণ করে।

২। কিংস ক্যানিয়ন
অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলে মরুভূমিতে এই গিরিখাতটি অবস্থিত যা পর্যটকদের একটি প্রধান আকর্ষণীয় স্থান। গম্বুজ আকৃতির গঠন, ধারালো পর্বতগাত্র এবং পার্শ্ববর্তী মরুভূমির সুন্দর দৃশ্য দর্শনার্থীরা হেঁটে উপভোগ করতে পারেন। এই গিরিখাতের একটি অংশে আদিবাসীদের বাস। তাই দর্শনার্থীদের হাঁটতে নিরুৎসাহিত করা হয়।

৩। টারকো গর্জ
তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলের পাথুরে অঞ্চলে এই টারকো গিরিসংকট অবস্থিত। এই গিরিখাতটি দ্বীপের মত বড় পর্যটক আকর্ষণীয় স্থান। এটি ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ। ভ্রমণের জন্য বিভিন্ন রকমের হাঁটা পথ, উত্তেজনাপূর্ণ দৃশ্যাবলী ও সাদা জলপ্রপাত পর্যটকদের আকর্ষণ করে।

৪। টাইগার লেপিং গর্জ
পৃথিবীর সবচেয়ে গভীরতম গিরিখাতের একটি চীনের টাইগার লেপিং গর্জ। চীনের ইউয়ান প্রদেশের লিজিয়ান শহরের কাছে জিনশা নদীর উপর এটির অবস্থান। এটি ৩৭৯০ মিটার গভীর। এখানে আছে নেক্সি আদিমানুষদের বাস।

৫। গর্জেস ডু ভারডন
ফ্রান্সের দক্ষিণপূর্ব দিকে এই গিরিখাতটি অবস্থিত। এটি ইউরোপের সবচেয়ে সুন্দর রিভার ক্যানিয়ন। এটি ৭০০ মিটার গভীর এবং ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। ভারডন নদীর ক্ষয়কারী কার্যক্রম দ্বারা গঠিত এই গিরিখাতের পানির রঙ ফিরোজা-সবুজ।

এছাড়াও নামিবিয়ার ফিশ রিভার ক্যানিয়ন, সাউথ আফ্রিকার ব্লাইড রিভার ক্যানিয়ন, আমেরিকার ব্রাইস ক্যানিয়ন, নেপালের কালী গান্ডাকি গর্জ, পাকিস্তানের ইন্দুস গর্জ, আমেরিকার দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চচলের এন্টেলোপ ক্যানিয়ন উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গিরিখাত।



মন্তব্য চালু নেই