বিশ্বের সবচাইতে বিপজ্জনক ৫ সেতু (ছবিসহ)

সভ্যতার শুরু থেকে মানুষ নিজেদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য গিরিখাত, নদী, এমনকি সাগরের উপরেও সেতু নির্মাণ করেছে। সেই সব সেতুতে মানুষ রেখেছে সৃজনশীলতার ছোঁয়া। কিছু সেতু আবার এমন তৈরি করেছে যে, আপনি নিতান্ত সাহসী মানুষ না হলে ও হৃদযন্ত্র যথেষ্ট শক্তিশালী না হলে আপনি তার উপরে পা রাখতে চাইবেন না। আবার যারা এডভেঞ্চার পছন্দ করেন এবং বিপদের মুখোমুখি হবার জন্য যথেষ্ট সাহস রাখেন তবে এই সেতুগুলো তাঁদের জন্য হতে পারে অনেক বেশি রোমাঞ্চকর। আর এই ভ্রমণ বিলাসী এডভেঞ্চার প্রিয় মানুষদের জন্য আজ থাকছে বিশ্বের সবচাইতে বিপজ্জনক সেতুগুলোর খবরা-খবর।

brid1

ট্রিফ সাসপেনশন ব্রিজ– সুইজারল্যান্ড:
সুইজারল্যান্ডের গ্রাডমেন শহরের পর্বতমালায় এই সেতুটি অবস্থিত। নীচের হিমবাহ গলে যাওয়ায় পথচারীদের হাঁটার সুবিধার কারণে নির্মিত হয়েছিল সেতুটি। ট্রিফ সাসপেনশন সেতুটিকে বিশ্বের সবচাইতে বিপজ্জনক সেতু মনে করা হয়। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ ও সুউচ্চ পায়ে হাঁটার ঝুলন্ত সেতু। ২০০৪ সালে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। উচ্চতা ৩২৮ ফুট এবং দৈর্ঘ্য ৫৫৮ ফুট।

bri2

পুলাউ লনংগকীস সাসপেন্ড সেতু– মালয়েশিয়া:
পুলাউ লনংগকীস সাসপেন্ড সেতু সেতুটি পৃথিবীর অন্যতম ভয়ংকর সেতু। পুলাউ ল্যাংকাউই দ্বীপের গুনুং ম্যাট সিঙ্কেঙ্ক পাহাড়ের উপরের ১২৫ মিটার লম্বা ঝুলন্ত সেতুটিকে এমনভাবেই বানিয়েছেন স্থপতি মায়ুর কানাইয়া। মানুষকে একই সঙ্গে বন্যজীবনের সৌন্দর্য আর উন্মত্ততার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই সেতুটি নির্মান করা হয়েছে।

bri3

ওল্ড ব্রিজ অফ কোনিটসা- গ্রীস:
ওল্ড ব্রিজ অফ কোনিটসা সেতুটি ১৮৭০ সালে নির্মান করা হয়। শত বছরের পুরনো এই ব্রিজ অউস নদীর উপরে অবস্থিত। এই ব্রিজের নিচে নাকি একটি ঘণ্টা ঝুলানো আছে। কথিত আছে, যখন বাতাসে এই ঘণ্টাটি বাজে তখন এর উপর দিয়ে যাওয়া বিপদজনক।

bri4

ক্যাপিলানো সাসপেনশন ব্রিজ- কলম্বিয়া:
কানাডার ক্যাপিলানো নদীর উপর নির্মিত সেতুটির দৈর্ঘ্য ১৪০ মিটার। নদী থেকে ২৩০ ফুট উপরে এর অবস্থান। সেতুর উপর থেকে নিচের দিকে তাকালে ভয় পাবেন যে কেউ। কটমেল ফুটব্রিজ শ্রীলঙ্কার কটমেল নদীর উপর নির্মিত এই সেতুটি। সেতুটি দেখলেই বুক কেঁপে উঠবে। কাঠের পাটাতনের বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে, আর সেতুটা বেশ নড়বড়েও।

bri2

লিভিং ব্রিজ– ইন্ডিয়া:
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জি গ্রামের অবস্থিত এই সেতু। গ্রামের যুদ্ধজাতি খাসিস অনেকদিন আগে গাছের শিকড় দিয়ে এ ধরনের সেতু নির্মাণের কৌশল আবিষ্কার করে। তারা গাছের শিকড়কে এমনভাবে বাড়তে দেয়, যাতে করে তা নির্দিষ্ট দিকে বাঁকতে গিয়ে সেতুর নির্মাণ করে। স্থানীয়দের মতে সেতুগুলোর কোনো কোনোটি লম্বায় ৩০ মাইল এবং একবারে তাতে ৫০ জন মানুষের ভার সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে। তবে এটি পার হতে আপনাকে যথেষ্ট বেগ পেতে হতে পারে।

সূত্র: লোলওয়াট।



মন্তব্য চালু নেই