বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব ২০ জানুয়ারি শুরু

আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। আগামী ২০ জানুয়ারি শুক্রবার থেকে শুরু হবে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। দ্বিতীয় পর্বে দেশের অবশিষ্ট ১৫টি জেলাসহ ঢাকা জেলার বাকি অংশের তাবলিগ অনুসারী মুসল্লিরা অংশ নেবেন। বিশ্ব ইজতেমায় লাখ লাখ মানুষের ভিড় সামলাতে কয়েক বছর ধরে এ উদ্যোগ নিয়েছে তাবলিগ কর্তৃপক্ষ। বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী মো. গিয়াস উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিতে ইচ্ছুক মুসল্লিদের খিত্তাওয়ারি অবস্থানের অনুরোধ জানানো হয়েছে আয়োজকদের পক্ষ থেকে।

মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় জেলা অনুযায়ী খিত্তা বণ্টন করা হয়েছে। ঢাকা জেলার মুসল্লিরা ১ থেকে ৫ নং খিত্তায়, মেহেরপুর জেলার মুসল্লিরা ৬ নং খিত্তায়, ঢাকা জেলার অবশিষ্ট মুসল্লিরা ৭ নং খিত্তায়, বাগেরহাটের মুসল্লিরা ৮ নং খিত্তায়, রাজবাড়ির মুসল্লিরা ৯ নং খিত্তায়, দিনাজপুরের মুসল্লিরা ১০ নং খিত্তায়, হবিগঞ্জের মুসল্লিরা ১১নং খিত্তায়, মুন্সীগঞ্জের মুসল্লিরা ১২ ও ১৩ নং খিত্তায়, কিশোরগঞ্জের মুসল্লিরা ১৪ ও ১৫ নং খিত্তায়, কক্সবাজারের মুসল্লিরা ১৬ নং খিত্তায়, নোয়াখালীর মুসল্লিরা ১৭ ও ১৮ নং খিত্তায়, বাগেরহাটের মুসল্লিরা ১৯ নং খিত্তায়, চাঁদপুরের মুসল্লিরা ২০ নং খিত্তায়, পাবনায় মুসল্লিরা ২১ ও ২২ নং খিত্তায়, নওগাঁয় মুসল্লিরা ২৩ নং খিত্তায়, কুষ্টিয়ার মুসল্লিরা ২৪ নং খিত্তায়, বরগুনা জেলার মুসল্লিরা ২৫ নং খিত্তায় এবং বরিশাল জেলার মুসল্লিরা ২৬ নং খিত্তায়।

আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর কাকরাইল জামে মসজিদে প্রথম বিশ্ব ইজতেমার প্রচলন শুরু হয় ১৯৪৬ সালে। এরপর ১৯৪৮ সালে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামে। ১৯৫৮ সালে অনুষ্ঠিত হয় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে। ১৯৬৬ সাল থেকে গাজীপুরের শিল্প নগরী টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জমায়েত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। সব মিলিয়ে ধারবাহিকভাবে প্রায় ৫২ বছর বিশ্ব ইজতেমা পরিচালিত হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই