বিশ্ব ইজতেমায় লাখো মুসল্লির জুমার নামাজ আদায়

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম দিন লাখো মুসল্লি একসঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করেছেন। নিয়মিত তাবলিগ জামাতের বাইরে ঢাকা-গাজীপুরসহ আশপাশ এলাকার লাখ লাখ মুসল্লি নামাজে অংশ নেন। জুমার নামাজে ইমামতি করেন ঢাকার কাকরাইল মসজিদের হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ যোবায়ের।

মুসল্লিদের পদচারণায় পুরো ইজতেমা ময়দান কানায় কানায় ভরে যায়। মাঠে জায়গা না পেয়ে মুসল্লিরা মহাসড়ক ও অলিগলিসহ যে যেখানে পেরেছেন পাটি, চটের বস্তা, খবরের কাগজ, চাদর ও পলিথিন বিছিয়ে জুমার নামাজে শরিক হন।

এর আগে শুক্রবার বাদ ফজর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।

ইজতেমায় বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের তাবলিগ মারকাজের শুরা সদস্য ও বুজর্গরা বয়ান পেশ করেন। মূল বয়ান উর্দূতে হলেও বাংলা, ইংরেজি, আরবি, তামিল, মালয়, তুর্কি ও ফরাসিসহ বিভিন্ন ভাষায় তাৎক্ষণিক অনুবাদ করা হয়। ইজতেমায় বিভিন্ন ভাষাভাষি মুসল্লিরা আলাদা আলাদা বসেন এবং তাদের মধ্যে একজন করে মুরব্বি মূল বয়ানকে তাৎক্ষণিক অনুবাদ করে শুনান।

বিশ্ব ইজতেমার কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আম ও খাস বয়ান, তালিম, তাশকিল, ৬ উছুলের হাকিকত, দরসে কোরআন, দরসে হাদিস, চিল্লায় নাম লেখানো, নতুন জামাত তৈরি, যৌতুক বিহীন বিয়ে।

বৃহস্পতিবার রাত থেকেই দূর-দূরান্ত থেকে মুসল্লিরা ময়দানে আসতে শুরু করেন। অনেকেই ময়দানে রাতযাপন করেন। শুক্রবার ভোর থেকে রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে লাখো মুসল্লির ঢল নামে। বাস, ট্রাক, ট্রেন, নৌকাসহ বিভিন্ন যানবাহনযোগে এবং পায়ে হেঁটে ময়দানে এসে বৃহত্তম জামাতে জুমার নামাজ আদায় করেন। দুপুর ১২টার আগেই ময়দানের ১৬৫ একর এলাকাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এরপর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক কামারপাড়া রোডসহ আশপাশের খালি জায়গার মধ্যে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে।

মুসল্লিদের থাকা খাওয়া ওজু গোসলের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রতিদিনি সাড়ে তিন কোটি লিটার পানি ইজতেমা ময়দানে সরবরাহ করা হয়েছে। র‌্যাব ও পুলিশের টহল চলছে।



মন্তব্য চালু নেই