বিশ্ব কচ্ছপ দিবস আজ

২৩ মে সারাবিশ্বে পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব কচ্ছপ’ দিবস। ২০০০ সাল থেকে ‘আমেরিকান টরটয়েজ রেসকিউ’ নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দিবসটি পালনে উদ্যোগী ভূমিকা নিয়েছিল। সেই থেকেই দিবসটি সারাবিশ্বে উদযাপিত হচ্ছে।

ধরিত্রের সবচেয়ে প্রাচীন জীব কচ্ছপ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা তৈরি, প্রকৃতির অন্যান্য জীবের পাশাপাশি এই জীবের প্রতি সম্মান দেখানো ও এর সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য এই দিবসটি পালনের মূল কারণ।

অতি পরিচিত এই সরীসৃপ প্রাণীটি জলস্থল উভয় স্থানেই বাস করে। শক্ত খোলস দ্বারা আবৃত প্রাণীটি প্রাচীন প্রাণীদের মাঝে অন্যতম। বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় ৩০০ প্রজাতির কচ্ছপ রয়েছে বলে জানা যায়। আর বাংলাদেশে রয়েছে ২০ প্রজাতির কচ্ছপ। যার মধ্যে কিছু প্রজাতি মারাত্মকভাবে বিলুপ্তির পথে।

এক সময় বঙ্গোপসাগর, নদীনালা, বিল-বাওড়, পুকুরসহ বাড়ির আঙ্গিনাতেই কচ্ছপ দেখা যেত। এখন আর তেমন দেখাই যায় না।

দ্য ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) সামুদ্রিক কচ্ছপ সংকটাপন্নের পাঁচটি কারণ উল্লেখ করেছে।

সেগুলো হল______

১. মাছ ধরা

জেলেদের মাছ ধরার সময় জালে আটকা পড়ে প্রচুর সংখ্যক কচ্ছপ মারা যায়। জালে জড়িয়ে, আবাসস্থল ধ্বংস ও খাদ্যশৃঙ্খলে পরিবর্তনের কারণেও মারা যায়।

কচ্ছপ ও কাছিম ধরা

সামুদ্রিক কচ্ছপের ডিম খাওয়ার জন্য অনেকে সংগ্রহ করে। আবার কচ্ছপ ও কাছিমকে খাদ্য হিসেবেও খায়। তাছাড়াও এদের থেকে বিভিন্ন ধরণের পণ্য তৈরি করা হয়।

উপকূলীয় উন্নয়ন

উপকূলের উন্নয়নের নামে অনেক দেশেই কচ্ছপের আবাস ধ্বংস করা হচ্ছে। ডিম পাড়ার জন্য সংরক্ষিত স্থানে পর্যটকদের আনাগোনাও কচ্ছপ সংকটের একটি বড় কারণ। এছাড়াও জাহাজ চলাচল, সমুদ্রের তলদেশের পরিবর্তনসহ নানাবিধ কারণ রয়েছে।

দূষণ

প্লাস্টিক, পরিত্যক্ত মাছ ধরার যন্ত্রপাতি, তেল বর্জ্য এবং অন্যান্য পদার্থ খেয়ে কিংবা পরিত্যক্ত জালের সঙ্গে জড়িয়েও মারা যায়। রাসায়নিক দূষণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। উপকূলে আলোর ঝলকানি ডিম পাড়ায় বাঁধা দেয়।

জলবায়ুর পরিবর্তন

আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তন এদের বাসস্থানের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলে থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত জলবায়ু পরিবর্তন, পুকুর জলাশয়ে বিষ ও কীটনাশকের ব্যবহার, জমিতে সার প্রয়োগ, কচ্ছপের প্রয়োজনীয়তা না জানা, প্রাণী দেখামাত্রই মেরে ফেলা ইত্যাদি কারণে সংকটাপন্ন হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই