বিশ্ব মিডিয়ায় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের খবর

বাংলাদেশে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয় নিয়ে বিশ্ব মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিশ্বের প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলোর অনলাইনে সংস্করণে খবরটি বেশ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে। বিবিসি, রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট, ডন, এপি, এএফপি, নিউজ এবিসি উল্লেখযোগ্য।

ব্রিটেনের প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম বিবিসি শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাদেশ ইলেক্ট্রিসিটি ব্ল্যাকআউট আফটার পাওয়ার লাইন ফেইল’। এতে বলা হয়, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যুক্ত জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড বিকল হয়ে যাওয়ায় দেশটির বেশিরভাগ এলাকা অন্ধকারে নিমজ্জিত রয়েছে। দেশটির রাজধানী ঢাকাও কয়েক ঘণ্টা ধরে অন্ধকারে নিমজ্জিত। তবে কখন থেকে এ অবস্থা চলছে তা বার্তা সংস্থাটিতে উল্লেখ করা হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বাংলাদেশের লাখো মানুষ অন্ধকারে নিমজ্জিত। বিদ্যুৎ না থাকায় হাসপাতাল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিকল হয়ে রয়েছে। তবে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান জেনেরেটর ব্যবহার করে তাদের কাজহ চালাচ্ছে।

ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, ভারত থেকে আসা বিদ্যুৎ লাইনে ত্রুটি ধরা পড়ায় বাংলাদেশের পুরোটাই অন্ধকারে ডুবে গেছে।

‘ভারতে বিদ্যুৎলাইন ফেইল করায় বাংলাদেশ অন্ধকারে’ এ রকম শিরোনামে খবর প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা সংস্থা এপি। এর কারণ হিসেবে সংবাদ মাধ্যমটি যান্ত্রিক ত্রুটির কথা উল্লেখ করেছে।

ফ্রান্সভিত্তিক সংবাদ সংস্থা এএফপি বাংলাদেশ সরকারের বরাত দিয়ে জানায়, ট্রান্সমিশন লাইন ফেইলের কারণে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে।

পাকিস্তানভিত্তিক পত্রিকা ডন জানায়, শনিবার বিদ্যুতের ট্রান্সমিশন লাইন ফেইল করায় বাংলাদেশের পুরোটাই অন্ধকারে ডুবে রয়েছে। তবে প্রকৌশলীরা এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য কাজ শুরু করেছে। বাংলাদেশ সরকারের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যমটি খবর প্রকাশ করে।

ভারতীয় ইংরেজি গণমাধ্যম এনডিটিভি তাদের অনলাইন সংস্করণে ভারত থেকে সরবরাহকৃত বিদ্যুৎ-এর লাইনে ত্রুটি থাকায় পুরো বাংলাদেশে অন্ধকার নেমে এসেছে।

ভারতের সংবাদ মাধ্যমগুলো বলেছে, ভারতের সরবরাহ বিদ্যুৎ লাইন বিকল হয়ে পড়ায় সারা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভারত থেকে আমদানিকৃত ৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার জন্য দেশটির কুষ্টিয়া জেলার বহরমপুরে স্থাপিত সাবস্টেশনটি শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিকল হয় বলে জানিয়েছে দেশটির বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।



মন্তব্য চালু নেই