বিসিবিও চায় সাসেক্সে খেলুক মুস্তাফিজ

আগামী ১০জুন সাসেক্সের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেটে মাঠে নামার কথা রয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানের। তবে টানা ৫৫ দিন আইপিএলের খেলার জন্য ভারতে কাটিয়ে এসে মুস্তাফিজ শারিরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ নন এ পেসার। তাই সাসেক্সের হয়ে খেলার ব্যাপারটি তার শারীরিক অবস্থার উপরই নির্ভর করবে বলে জানান বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক ও সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ। তবে ফিট থাকলে তাকে কাউন্টিতে দেখতে চান এ নির্বাচক। কারণ, কাউন্টির অভিজ্ঞতা হলে ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বাংলাদেশের জন্যই ভালো হবে। এছাড়া উপমহাদেশের বাইরে এটা হবে তার প্রথম খেলার অভিজ্ঞতা।

মুস্তাফিজ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচক ফারুক বলেন, ‘যদি মুস্তাফিজ ফিট থাকে তাহলে তার সেখানে (কাউন্টি) খেলা উচিৎ। কাউন্টি ক্রিকেট যে কোন ক্রিকেটারের কাছে স্বপ্নের মত। কাউন্টি ক্রিকেটে খেলতে যাওয়া মানে সে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মত দেশগুলোতে খেলতে যাওয়ার স্বাদ নেয়া। আমার মতে কাউন্টি ক্রিকেটে একবছর খেলা আর উপমহাদেশে চার বছর খেলা এক সমান। মুস্তাফিজের সিমিং কন্ডিশনে খেলা উচিৎ। তার সাসেক্সে খেলার অভিজ্ঞতা পরবর্তী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে লাভবান হবে বাংলাদেশ।’

তবে দেশের বাইরে এতো ক্রিকেট খেললে মুস্তাফিজকে খেলার রহস্য উন্মোচন হয়ে যাতে পারে কি না এমন প্রশ্নে ওয়াসিম আকরাম এবং ওয়াকার ইউনুসের উদাহরণ টেনে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘যখন ওয়াসিম আকরাম এবং ওয়াকার ইউনুস তাদের ক্যারিয়ার শুরু করে তাদের বোলিং নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে; কিন্তু সে সবই ভেস্তে গিয়েছে। কোন কিছুই তাদের ক্যারিয়ারে সমস্যা করতে পারেনি। আমার মনে হয় মুস্তাফিজের অনেক লম্বা এবং সাফল্যপূর্ণ ক্যারিয়ার রয়েছে। সে তার দায়িত্ব খুব ভালোভাবেই পালন করতে জানে। সে বর্তমান ক্রিকেটের সবচেয়ে বিপজ্জনক বোলার।’

একই কথা বললেন বিসিবির অন্যতম ডিরেক্টর মাহবুব আনামও। তার মতে মুস্তাফিজ কাউন্টিতে খেললে বাংলাদেশই লাভবান হবে। তবে এর আগে অবশ্যই তার শারীরিক এবং মানসিক অবস্থা বিবেচনা করতে হবে বলে জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিসিবি মুস্তাফিজের শারীরিক এবং মানসিক কন্ডিশন বিবেচনা করবে। আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ অনেক লাভবান হবে যদি সে সাসেক্সে খেলতে যায়। তাই সাসাক্সের হয়ে সে খেললে এটা বাংলাদেশেরই লাভ।’



মন্তব্য চালু নেই