বিস্ফোরক তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা রাখত সাদ্দাম

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বেড়িবাঁধে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে নূরুল ইসলাম মারজান নব্য জেএমবির সামরিক শাখার কমান্ডার হিসেবে পরিচিত হলেও অপরজন সাদ্দামের নির্ভরযোগ্য পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তবে পুলিশের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র বলছে, নিহত সাদ্দাম হলো একটি ‘কোড নেইম’। তার অন্য কোনো নাম থাকতে পারে।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তার বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়। বয়স আনুমানিক ৩১ বছর। তবে তার পরিচয় উদঘাটনের জন্য পুলিশের গোয়েন্দারা কাজ করছেন।

সূত্র জানায়, সাদ্দাম আগে থেকে পুলিশের নজরদারিতে ছিল। রংপুরে নিহত জাপানি নাগরিক হোসি কুনিও হত্যাসহ অন্তত ছয়টি হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল সে। এছাড়া রংপুরের খাদেম রহমত আলী, রংপুরের বাহাই নেতা রুহুল আমিন, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ মঠের প্রধান পুরাহিত যজ্ঞেশ্বর, কুড়িগ্রামের নব্য খ্রিস্টান হোসেন আলী হত্যার সঙ্গে সে জড়িত ছিল। এসব হত্যায় সে ‘সাদ্দাম’ নামে চার্জশিটভুক্ত আসামি ছিল। হত্যা মামলা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার আরো ছয়টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) সূত্র জানিয়েছে।

সূত্র আরো জনায়, সাদ্দাম নব্য জেএমবির বড় কোনো নেতা নয়। সে যে কোনো ধরনের অস্ত্র চালানোয় পারদর্শী। পাশাপাশি সে বিস্ফোরকও তৈরি করতে পারত।

পুলিশের তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত বিভিন্ন জঙ্গি অভিযানে ব্যবহৃত বিস্ফোরক ও গ্রেনেড জঙ্গিদের নিজস্ব তৈরি। আর এসব গ্রেনেড তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা ছিল সাদ্দাম নামের এই নব্য জেএমবি সদস্যের।

পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, সাদ্দাম বেশ কয়েকটি হত্যা ও হত্যা প্রচেষ্টার বেশ কয়েকটি মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি।

এদিকে আজ শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বন্দুকযুদ্ধে নিহত সাদ্দাম উত্তরবঙ্গের নব্য জেএমবির প্রধান ছিল। দেশে যে কয়টি জঙ্গি হামলা হয়েছে তার সবকটির সৃঙ্গেই সাদ্দাম জড়িত ছিল।



মন্তব্য চালু নেই