বিয়ের আগেই গর্ভবতী হওয়া বাধ্যতামূলক যেখানে!

রতিটা সমাজেরই একটা সামাজিক ও ধর্মীয় রীতি আছে। ঠিক এর ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা যায় টোটো সমাজে। সেখানে বিয়ের আগেই নারীকে গর্ববতী হতে হয়। টোটো ভারতের এক অতি ক্ষুদ্র জন গোষ্ঠী। পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার উত্তর প্রান্তে ভুটান সীমান্তে তোর্ষা নদীর ধারে টোটোপাড়া গ্রামে এঁদের বাস।

জানা যায়, সে অঞ্চলে মেয়েদের বিয়ের আগে মা হওয়াটা কিন্তু বাধ্যতামূলক। সেখানে মাতৃত্বই দেয় পছন্দের সেই পুরুষকে বিয়ের অধিকার। এটাই রেওয়াজ টোটো সমাজে। সেখানে সবমিলিয়ে ১ হাজার ৫৮৪ টোটোর বাস। এখনো নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছেন এই উপজাতিরা।

টোটো সমাজের কোনো মেয়েকে ছেলেটির পছন্দ হলে প্রথমে ছেলের বাবা মেয়ের বাবার বাড়িতে দু’হাঁড়ি ‘ইউ’ ও একটা লাল মুরগি নিয়ে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। একে বলে ‘বাগদান’ পর্ব। আগে সাত-আট বছর হলেই বাগদান পর্ব সেরে ফেলা হতো।

তারপর কয়েকবছর পর মেয়ে শ্বশুরবাড়ি চলে আসতো এবং স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করতো। মেয়ে গর্ভবতী হলেই বিয়ের পর্ব সারা হতো। অনেকসময় বাগদানের পরেই মেয়ে ছেলের বাবার সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি চলে আসে। নিজেদের পছন্দমতো বিয়ের ব্যাপারটা টোটো সমাজে অনেক আগে থেকেই প্রচলিত আছে। এই ধরনের বিয়েকে বলা হয় ‘নিয়াংকোষা’ প্রথা।

টোটো সমাজে কোন পণপ্রথা নেই। বিবাহ বিচ্ছেদ বা বিধবা বিবাহ বরাবরই স্বীকৃত। তবে এইসব বিষয়ে সমাজ কতগুলি নিয়ম বেঁধে দিয়েছে। কোনো অবস্থাতেই টোটো সমাজ ব্যাভিচারিতা সহ্য করে না। এক্ষেত্রে সমাজপতিদের শাসন বড় কড়া।



মন্তব্য চালু নেই