বিয়ের দাবীতে যুবলীগ নেতার বাড়ীতে অবস্থান

নীলফামারীতে বিয়ের দাবীতে প্রেমিক যুবলীগ নেতা ও ইউপি সদস্যর বাড়ীতে অবস্থানরত পুলিশের হাতে আটককৃত অনার্স পড়ুয়াপ্রেমিকাকে জামিন দিয়েছে আদালত। আজ রবিবার নীলফামারী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক সামিউল হক তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। জানা যায়, জেলার ডোমার উপজেলার মৌজা পাঙ্গা গ্রামের জয়নাল আবেদীনের মেয়ে নীলফামারী সরকারী কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী জোবায়দা আবেদীন জুই একই উপজেলার বামুনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ও সংশ্লি¬ষ্ট ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য তিতাস রহমান বাবুর বাসায় বিয়ের দাবীতে গত গত ১৬ অক্টোবর বুধবার সন্ধ্যা হতে বাড়ীতে অবস্থান নেয়। এরপর প্রেমিক ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা তার সহযোগীদের সহায়তায় ক্ষমতার প্রভাবে তিতাস রহমান বাবুর বাবা মশিয়ার রহমান বাদী হয়ে ১৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার ছেলের প্রেমিকা জোবায়দা আবেদীন জুঁই কে আসামী করে ৪৪৮/৫০৬(২) ধারায় ডোমার থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং- ০৯, তারিখ-১৭/১১/২০১৬। এরই ভিত্তিতে প্রেমিকা জুইকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরদিন শুক্রবার পুলিশ জুইকে আদালতে পাঠায়। সে সময় আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠায়।

রবিবার তার জামিন আবেদন করা হলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। যুবলীগ নেতার সাথে প্রেমের খেসারত হিসাবে এ ঘটনায় নারী অধিকার ও নির্যাতন নিয়ে নুতন করে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে ক্ষমতাসীনের সাথে প্রেমের খেসারত জেলখানায় পুরে দেয়াকে ঘিরে। পুলিশের আটকের এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে অসহায় ওই প্রেমিকা যুবলীগ নেতার লালসার শিকারে পরিনত হয়েছে কি না। উলে¬খ্য যে, পুলিশের হাতে আটকের পর জোবায়দা আবেদীন জুই জানান, দেড় বছর আগে বাবুর সাথে আমার মোবাইলে যোগাযোগ হয়। যোগাযোগের পর থেকেই তার সাথে আমার ঘনিষ্টতা বাড়তে থাকে যা এক পর্যায়ে দৈহিক সম্পর্কে রূপ নেয়।

আমি তার সাথে সম্পর্ক করতে না চাইলে সে নানা ভাবে আমাকে উত্যক্ত করতো। এখন সে অন্য মেয়েকে বিয়ের জন্য উঠে পরে লেগেছে। বিয়ের কথা বলে একাধিকবার সে আমার সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। এখন বিয়ের কথা বললেই সে টালবাহানা করতে থাকে। লোকমুখে জানতে পারি বুধবার মেয়ে পক্ষ তাকে দেখতে আসবে। এরপর তাকে বার বার মোবাইলে কল করলেও সে রিসিভ না করায় আমি তার বাড়ীতে অবস্থান করছি। জুই বিয়ের দাবীতে ইউপি সদস্য বাবুর বাড়ীতে আসার পর থেকেই বাবু গা ঢাকা দেয়। যখন আমি তাদের বাসায় যখন আসি তখন বাবু বাসায় ছিল। আমাকে দেখে সে বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়।



মন্তব্য চালু নেই