বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার শিক্ষক

ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার শহরের এক নামী বেসরকারি কলেজের অধ্যাপক। অভিযোগ, শঙ্কর দাস নামে ওই অধ্যাপক বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক মহিলার সঙ্গে সহবাস করেছেন।

বছর চারেক আগে একটি পাত্রপাত্রীর বিজ্ঞাপন-ওয়েবসাইট মারফত ওই মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল শঙ্করের। পেশায় সরকারি হাসপাতালের নার্স ওই মহিলার অভিযোগ, আলাপের পর তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েই তাঁর সঙ্গে সহবাস করেছেন শঙ্কর। সে সময়ে ওই অধ্যাপক নিজের প্রকৃত পরিচয়ও গোপন রেখেছিলেন বলে দাবি করেছেন অভিযোগকারিণী।

পুলিশ সূত্রের খবর, ২০১২ সালে ওই মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল পার্ক স্ট্রিটের একটি নামী কলেজের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক শঙ্করের। সে সময়ে নিজেকে ‘সন্দীপ রায়’ বলে পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। ওই মহিলা তখন সল্টলেকের একটি আবাসনে থাকতেন। দু’জনে একাধিকবার বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতেও যান। ওই মহিলার অভিযোগ, শঙ্কর প্রথমে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে প্রসঙ্গটি কৌশলে এড়িয়ে যেতেন।

এভাবে কয়েকবছর চলার পরে চলতি বছরের প্রথম থেকেই ওই মহিলা বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন শঙ্করকে। এনিয়ে দু’জনের মধ্যে কথাকাটাকাটিও হয়। শঙ্কর শেষপর্যন্ত বিয়ে করতে রাজি না-হওয়ায় গত ২৮ মার্চ বিধাননগর পূর্ব থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বুধবার দুপুরে শঙ্করকে তাঁর মহেশতলা থানা এলাকার বাটানগরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ। আজ, বৃহস্পতিবার তাঁকে বিধাননগর এসিজেএম আদালতে পেশ করা হবে।

বিধাননগর সিটি পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘একটি ওয়েবসাইটে আলাপের সূত্রে দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক হয়েছিল। অভিযুক্ত প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করায় ধর্ষণের পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার ধারাও দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত বেশ কিছুদিন ওই মহিলার বাড়িতে থেকেছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।’’

প্রশ্ন উঠছে, মার্চ মাসে অভিযোগ দায়ের হলেও শঙ্করকে গ্রেফতার করতে প্রায় সাত মাস লাগল কেন? এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর অবশ্য পাওয়া যায়নি।



মন্তব্য চালু নেই