বিয়ের প্রলোভনে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ: ৭ মাসের অন্তঃসত্তা

রাঙ্গুনিয়ায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৭ মাস ধরে ধর্ষন করেছে কাঠ মিস্ত্রি। মাদ্রাসা ছাত্রী অন্ত:স্বত্তা। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ধর্ষককে গ্রেফতার করে শনিবার (৯ এপ্রিল) জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে রাঙ্গুনিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মেয়ের পিতা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিন রাজা নগর ইউনিয়নের কালা কাজীর বাড়ি গ্রামের মো. বাবুলের পুত্র বিদেশ ফেরত কাঠ মিস্ত্রি মো. সোহেল(২২) পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন লালা নগরের আলম শাহ পাড়া মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ ৭ মাস ধরে ধর্ষন করে আসছে। লালা নগর ইউনিয়নের খোরশেদ তালুক এলাকার দিন মজুরের কন্যা মাদ্রাসা ছাত্রী ৭ মাসের অন্ত:স্বত্তা হলে অভিযুক্ত সোহেল গর্ভপাত ঘটানোর জন্য তাকে বুধবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মেয়েটিকে ঔষুধ খাওয়ায়।

ঔষুধ খাওয়ানোর পর মেয়েটি প্রচন্ড রক্তপাত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার পরদিন মেয়ের মা চিকিৎসার জন্য তাকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করান। ঘটনাটি পুরো হাসপাতালে জানাজানি হয়ে পড়লে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাঙ্গুনিয়া থানায় খবর দিলে ছাত্রীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যায়। মেয়ের পিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষক সোহেলকে রাঙ্গুনিয়া থানার পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন।

মেয়ের পিতা জানান, আমার পরিবারের অজান্তে বিয়ের করার প্রলোভন দেখিয়ে শারিরীক মেলামেশা করে। মেয়ে ৭ মাসের অন্ত:স্বত্তা। তিনি অভিযুক্ত সোহেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির জানান, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। মেয়েটি ফুঁসলিয়ে ধর্ষন করা হয়েছে। অভিযুক্তকে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই