বুদ্ধিমান যন্ত্রের কারণে বেকার হবে বিশ্বের অর্ধেক মানুষ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন যন্ত্র কাজ শুরু করলে মানুষের আর প্রয়োজন হবে না নানা কাজে। বর্তমানে যে হারে বুদ্ধিমান যন্ত্রপাতি তৈরির গবেষণা এগোচ্ছে তার ভিত্তিতে গবেষকরা জানিয়েছেন এ তথ্য। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে গার্ডিয়ান। এখনই নানা যন্ত্রপাতির কারণে মানুষের কাজ অনেক কমে গিয়েছে। ভারি ভারি কাজ সব যন্ত্রপাতি করছে। কিন্তু বুদ্ধি প্রয়োজন হয় এমন কাজগুলো মানুষই করে থাকে। কিন্তু বুদ্ধিমান যন্ত্রপাতির প্রসার বর্তমানে বেশ বাড়ছে। এ ধারা অক্ষুন্ন থাকলে আগামী ৩০ বছর পর বিশ্বের অর্ধেক মানুষই বেকার হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন একজন কম্পিউটার গবেষক। আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অব সায়েন্সকে (এএএএস) এ বিষয়ে গবেষক মোশে ভার্ডি বলেন, ‘আমরা এমন একটা সময়ের দিকে যাচ্ছি যখন যন্ত্রপাতির ক্ষমতা মানুষকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি সমাজকে এখন একটি প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে যে, মেশিন যদি মানুষের প্রায় সব কাজই করতে পারে তাহলে মানুষ কী করবে?’ গত বছর বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং, বিলিয়নেয়ার বিল গেটস ও ইলন মাস্ক গত বছর একই ধরনের সতর্কতা প্রকাশ করেছেন। তারা মানুষের ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে হকিং বলেছেন, ‘এটি মানুষ্যজাতির সমাপ্তি ঘটাতে পারে।’ মাস্ক বলেছেন, ‘এটি আমাদের টিকে থাকার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় হুমকি।’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে মানুষের এ হুমকির বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘও আংশিকভাবে চিন্তিত। সেখানে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারে সক্ষম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবটের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তবে ঠিক খুনী রোবট থেকে এ হুমকি আসবে না বলেই মনে করছেন এ বিষয়ে গবেষক ভার্দি। তিনি মনে করেন, চালকহীন খুনী ড্রোনের চেয়েও বেশি হুমকি সৃষ্টি করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবট। সেগুলো মানুষের কাজ করে দেবে এবং এতে মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে।



মন্তব্য চালু নেই