‘‘বৃষ্টি হলে কাঁদা পানি, রোদ হলে ধুলো বালি’’

সাতক্ষীরা জেলার বাসীর অবস্থা হয়েছে কবি সুকান্তের মত। কবি সুকান্ত তখন কলকাতায় থাকতেন। এক বন্ধু চিঠি লিখে জানতে চাইলেন কেমন আছো কলকাতায়। উত্তরে তিনি লিখেছিলেন ‘‘রেতে মশা দিনে মাছি, এই নিয়ে কলকাতায় আছি’’ ।

দেশের বাইরে বা ভিতরের অন্য কোন যায়গা থেকে যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে বন্ধু সাতক্ষীরায় তুমি কেমন আছে? তাহলে সাতক্ষীরা বাসীকে উত্তরে বলতে হবে ‘‘বৃষ্টি হলে কাঁদা পানি, রোদ হলো ধুলো বালি, এই নিয়ে সাতক্ষীরায় আছি’’। কথা গুলো শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই বাস্তব হয়ে দাড়িয়েছে সাতক্ষীরার লক্ষ লক্ষ অধিবাসীর। কারন হলো একটাই। আর সেটা এখানকার সড়ক ও জন পথ বিভাগে প্রায় দেড় শতাধিক কিলোমিটার পাকা সড়ক,মহাসড়ক।

ঐ সড়ক, মহাসড়কগুলে দীর্ঘদিন নতুন ভাবে তৈরী না করা যথাযথ রিপায়ারিং না করার ফলে এই অবস্থায় এস দাঁড়িয়েছে। সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়ক ও মহাসড়কগুলো দীর্ঘ দিন মেরামত ও নতুন ভাবে তৈরী না করার ফলে অনেক স্থানে এমন অবস্থা হয়েছে যে, দেখে বোঝার উপায় নেই এটি পাকা রাস্তা না কাঁচা রাস্তা।

মাঝে মধ্যে একটি ট্রাকে করে সড়ক বিভাগের কিছু লোক জন আসে রাস্তার উপরে বড় বড় গর্ত গুলো মেরামত করার জন্য। তাদের কাজ এতই নিন্ম মানের যে ঘন্টা ২/৩ পরে তা আবার আগের মত হয়ে যায়। সড়কের গর্ত গুলো পূরণ করার সময় নিন্ম মানের বালি পাথর পিছ ব্যবহারই হলো এর এক মাত্র কারন। এ অভিযোগ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও ভুক্তভোগী লোকজনের।

সড়কে কাজ করে রেখে যাওয়ার পরে যখন বাস, ট্রাক বা অন্যান্য যান বাহন দ্রুত গতিতে চলে যায় তখন ঐ গাড়ি গুলোর পিছনে এমন ভাবে ধুলোবালি উড়তে থাকে দুর থেকে দেখলে মনে হবে আগুন লেগে গেছে। যখন রোদ হয় তখনকার অবস্থা এটা। আর যখন বৃষ্টি হয় তখন সড়কের বড় বড় গর্তগুলো বৃষ্টিতে ভরে যায়। তখন রাস্তাগুলো ভরে উঠে কাঁদা পানিতে। বোঝা যায় না কোথায় কি আছে।

আতি দ্রুত সড়ক বিভাগ সাতক্ষীরার সড়ক মহাসড়কগুলো যদি নতুনভাবে তৈরী বা সুন্দও ভাবে মেরামত না করা হয় তাহলে সাতক্ষীরার লক্ষ লক্ষ অধিবাসিকে ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।

যত দ্রুত সম্ভব সাতক্ষীরার সড়ক মহাসড়ক গুলো তেরী বা মেরামত করে নির্ভয়ে,নির্বিগ্নে, চলাচলের উপযোগী করে তোলার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন সাতক্ষীরার লক্ষ অধিবাসী।



মন্তব্য চালু নেই