বেতনভাতা আত্মসাতে দুদকের ৭ মামলা অনুমোদন

প্রতারণার মাধ্যমে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের বেতনভাতা বাবদ প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিন হিসাবরক্ষণ অফিসারের বিরুদ্ধে সাত মামলা অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের ওই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক সাতটি মামলার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে এসব মামলা দায়েরের জন্য দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

যাদের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন- কক্সবাজার জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার মোহাম্মদ নুরুল হুদা, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার নাছির উদ্দিন মো. আবু সুফিয়ান ও টেকনাফ উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার আব্দুচ ছবুর।

এ বিষয়ে দুদকের সূত্রে জানা যায়, জেলার অফিসগুলোর দায়িত্বে থাকা এসব পদস্থ অসাধু কর্মকর্তারা ভূয়া ও কাগজপত্র সাজিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ও কক্সবাজার নার্সিং ইনস্টিটিউটের বেতনভাতা, উৎসব ভাতা, শ্রান্তি বিনোদন ভাতা ও ছাত্রী বৃত্তি ভাতার খাত থেকে ১ কোটি ৯০ লাখ ৪১ হাজার ১৭১ টাকা আত্মসাত করেছেন।

এভাবে ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০১২ সালের মার্চ পর্যন্তু সময়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের বেতনভাতা খাত থেকে ১ কোটি ৪২ লাখ ৩ হাজার ৫৪১ টাকা, ওই হাসপাতালের উৎসব ভাতা থেকে ১৩ লাখ ১০ হাজার ৯২৫ টাকা, শ্রান্তি বিনোদন খাত থেকে ২ লাখ ৪৯ হাজার ৬০০টাকা এবং নার্সিং ইনস্টিটিউটের বেতনভাতা থেকে ১৬ লাখ ৫৪ হাজার ৩৯৪ টাকা, শ্রান্তি বিনোদন খাত থেকে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭০৫ টাকা, ছাত্রীবৃত্তি খাত থেকে ১২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৮ টাকা ও উৎসব ভাতা থেকে ১লাখ ৯১ হাজার ৯৩৫ টাকা আত্মসাৎ করেন অভিযুক্তরা।

২০১৩ সাল থেকে তিন বছর অনুসন্ধান শেষে এই বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি প্রমাণিত হয়।

দুদক দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় পৃথক সাতটি মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।



মন্তব্য চালু নেই