বেদখল হয়ে যাচ্ছে সড়কটি : ১১ বছরেও শেষ হয়নি সড়কের কাজ

কাজী আনিছুর রহমান, রাণীনগর (নওগাঁ) : রাণীনগরের উপর দিয়ে বয়ে চলা নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক মহা সড়কের নির্মান কাজ দির্ঘ ১১ বছরেও শেষ হয়নি। দির্ঘ দিন ধরে সড়কটি পরে থাকার কারনে অধিকাংশ জায়গা বে-দখল হয়ে যাচ্ছে। কোথাও সড়কের উপর কুটড়ি ঘড় নির্মান আবার কোথাও খলিয়ান করে ধান সুখানোর কাজ চলছে আবার কোথাও সড়কের উপর সবজির আবাদ করা হচ্ছে। সড়কটির নির্মান কাজ শেষ হলে একদিকে রাজধানী ঢাকার সাথে যোগা-যোগে যেমন দুরত্ব কমবে অন্য দিকে কৃষিপণ্য সরবরাহ ও ব্যনিজ্যিক সম্প্রসারণ ঘটবে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের সূত্র মতে, নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়কের জন্য ২০০৫ সালে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ৯৮ কোটি টাকার প্রকল্প উন্নয়ন প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদন দেয়। কিন্তু পরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সীমিত আকারে ৫০ কোটি টাকার অনুমোদন দেয়। ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া নাটোরের নলডাঙ্গায় এই সড়কের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন। এর পর ২০০৭ সালের জুন পর্যন্ত নওগাঁ-সান্তাহার ঢাকা রোড মোড় থেকে রাণীনগর-নাটোরের নলডাঙ্গা পর্যন্ত সাড়ে ৪৮ কিলোমিটার রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়। মহাসড়কের নওগাঁ অংশের ২৬ কিলোমিটারের মধ্যে সাড়ে ৭ কিলোমিটার রাস্তা পাকা হয়। আর নাটোর অংশের সাড়ে ২২ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে ১৬ কিলোমিটার রাস্তা পাকা হয়। নতুন করে অর্থায়ন না হওয়ায় মোট ২৩ কিলোমিটার রাস্তা পাকা হওয়ার পর হাইড্রোলজি সমীক্ষার নামে বন্ধ হয়ে যায় সড়কটির নির্মাণ কাজ। সড়কটি পাকা না হওয়ায় বাকি সাড়ে ২৫ কিলোমিটার রাস্তা এখন এলাকাবাসীর গোচারণভূমিতে পরিণত হয়েছে। রাস্তার উপরে কলার বাগান, সবজি চাষ সহ ছোট ছোট বাড়ী নির্মাণ করে বসবাস করছে এলাকাবাসী। এরমধ্যে শুধুমাত্র সাস্তাহারের ঢাকা রোড থেকে রাণীনগর রেল স্টেশন পর্যন্ত পাকা করণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। রাণীনগর-নলডাঙ্গা পর্যন্ত— রাস্তার মাটি ভরাটসহ অন্য কোন

কাজ সমাপ্ত না হওয়ায় নাটোর -নওগাঁ-সাস্তাহার হয়ে বগুড়া যাওয়ার জন্যে রাস্তাটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ফলে এলাকার কৃষক,ব্যবসায়ীসহ সাধারণ জণগন সবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

রাণীনগর এলাকার এ বাসার চঞ্চল,উজ্জল হোসেন,সেজাউদ্দীনসহ কৃষক ব্যবসায়ীরা জানান, রাস্তাটির নির্মান কাজ শেষ হলে কৃষিপণ্য সরবরাহ ও ব্যবসা ক্ষেত্রে ব্যপক সুবিধা পাওয়া যাবে।

নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী তুহিন আল মামুন বলেন, সময়ের ব্যবধানে এই প্রকল্পটির ব্যয় বেড়েছে প্রায় তিনগুন,এ জন্য নতুন করে প্রকল্প তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এটি দ্রুত পাশ হবে বলে আশা করছেন তিনি।

এব্যাপারে স্থানীয় সাংসদ ইসরাফিল আলম বলেন, এই সড়কটি বাস্তবায়নের জন্য গত সাত বছরে সংসদে এগারো বার দাবি উত্থাপন করেছি। প্রকল্পটি বাবস্তবায়ন প্রক্রিয়ার সাথে যারা জরিত আছেন তাদের সকলের আন্তরিক সহযোগিতা পেয়েছি। আশা করছি আরো সহযোগিতার মাধ্যমে এই প্রকল্পটির কাজ বাস্তবায়ন হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এলাকাবাসী দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাবে বলে জানান তিনি।



মন্তব্য চালু নেই