বেনাপোল বন্দরে জিকা ভাইরাস প্রতিরোধে সতর্কতা

ভারত থেকে জিকা ভাইরাস বহনকারী কেউ যাতে বাংলাদেশে প্রবেশে করতে না পারে এ জন্য বৃহত্তর স্থলবন্দর বেনাপোলে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। জিকা ভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করছেন স্বাস্থ্য কর্মীসহ ইমিগ্রেশন পুলিশ।

স্বাস্থ্য বিভাগের দেওযা থার্মাল স্কানার দিয়ে প্রাথমিক পরীক্ষা ও নজরদারি করা হচ্ছে। সন্দেহভাজন বিদেশি এলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বেনাপোল চেকপোস্টে তিনজন স্বাস্থ্য সহকারীকে পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। এদের মধ্যে একজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার, একজন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও একজন গ্যাভি কর্মী (এনজিও) রয়েছেন।

ব্রাজিসহ দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ছড়িয়ে পড়া জিকা ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্থান ও ভারতের পশ্চিমাঞ্চল। ভারত হয়ে প্রতিদিন বিদেশি যাত্রী বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করায় ঝুঁকি বাড়ছে। স্বাস্থ্য কর্মীরা জিকা ভাইরাস নিয়ে আতংকিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে কর্মরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার জোতিষ চন্দ্র রায় বলেন, গত বুধবার থেকে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা জিকা ভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করছেন। এখনো সম্ভাব্য রোগী পাওয়া যায়নি। তারা সর্বোচ্চ সতর্ক আছেন।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, সন্দেহভাজন বিদেশি বেনাপোল দিয়ে দেশে প্রবেশ করলে বিষয়টি মেডিক্যাল টিমের সদস্যদের অবগত করা হবে। তারা কড়া নজর রাখছেন।

তবে ভারত থেকে আসা ট্রাকচালক ও হেলপাররা পরীক্ষা ছাড়াই দেশে ঢুকছে বলে জানান বন্দর ও ইমিগ্রেশনের সংশ্লিষ্টরা।

দক্ষিণ আমেরিকা জুড়ে এডিস এজিপ্টি নামে এক প্রজাতির মশার মাধ্যমে মায়ের পেট থেকে নানা সমস্যা নিয়ে জন্ম নিচ্ছে শিশু। যার চিকিৎসা বা ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়নি। এশিয়া ও আফ্রিকায় এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।



মন্তব্য চালু নেই