বেরোবিতে কেন্দ্রীয় মসজিদের উন্নয়নকল্পে নব গঠিত কমিটির নানা উদ্যোগ

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে(বেরোবি)কেন্দ্রীয় মসজিদ চালু হওয়ার একবছর পেড়িয়ে গেলেও এখনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি ইমাম মুয়াজ্জিন ।তবে এ দুটি পদ পূরনের প্রক্রিয়া সহ মসজিদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজের উন্নয়নকল্পে ২লাখ টাকা ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

গতকাল নব নির্মিত কমিটির এক বৈঠক শেষে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের ইনফরমেশন অফিসার এবং কেন্দ্রীয় মসজিদ নব নির্মিত কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী জানান, মসজিদের জেনারেটর কেনার জন্য ৯৪হাজার টাকা, মসজিদের মেহরাব তৈরি,মাইকস্ট্যান্ড,কার্পেট ক্রয় সহ অন্যান্য জিনিস ক্রয়ে মোট ২লাখ টাকা ব্যয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন,গতকাল ৪ সদস্যের এক সভায় মসজিদের কাজ সম্পূর্ণের ব্যাপারে বেশ কিছু ত্রুটি দেখা যায়।এই ত্রুটিগুলো দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে নব গঠিত কমিটি।

গত ২৩ এপ্রিল সাত সদস্য বিশিষ্ট মসজিদ কমিটি গঠন এবং ইমাম ও মুয়াজ্জিন এর জন্য গত ১৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটে দুটি পদ অনুমোদনের পরও এতো দিনে পদ দুটিতে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার(অতিরিক্ত দায়িত্ব) এবং মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি মোরশেদ উল আলম রনিকে জিজ্ঞেস করলে বলেন, সব কিছু এত তাড়াতাড়ি করা যায়না,সময় লাগে।মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন নিয়োগের ব্যাপারটি প্রক্রিয়া চলছে।অতিদ্রুত এ ব্যাপারে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।

গত পবিত্র মাহে রমজানের খতম তারাবির মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের কার্যক্রম শুরু হয়।কিন্তু এক বছরের মাথায় এবার খতম তারাবির পরিবর্তে সুরা তারাবিহ পড়া হচ্ছে।এবার কেন খতম তারাবিহ পড়া হচ্ছেনা জিজ্ঞেস করলে রেজিস্ট্রার বলেন,গতবার নিজ উদ্যোগে খতম তারাবির ব্যবস্থা করা হয়েছিল।কিন্তু এবার সেটা করা হয়নি।

গতবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক ড.আর এম হাফিজুর রহমান সেলিম সহ আরো কয়েকজন শিক্ষক কর্মকর্তা নিজ উদ্যোগে উপাচার্যের অনুমতি সাপেক্ষে মসজিদ চালুসহ খতম তারাবির ব্যাবস্থা করে।পরে পার্কের মোড়ে এক মাদরাসা শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম নামাজ ও আজানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।আজ পর্যন্ত তিনি তা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সেলিম বলেন,‘পূর্বে কোনো কমিটি ছিল না।যখন দেখলাম মসজিদ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় জামাতে নামাজ পড়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।যখন পবিত্র রমজান শুরু হয়।তখন এর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে উপাচার্যের অনুমতিক্রমে মসজিদ প্রাথমিকভাবে চালুর ব্যবস্থা করা হয়। পরে খতম তারাবির ব্যবস্থা করা হয়।’

বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত ইমাম বলেন,তাকে প্রথমবার তিনহাজারের বেশি কিছু পারিশ্রমিক দেওয়া হলেও এখন তিনি বিনা বেতনেই পড়াচ্ছেন।তাকে কোনো বেতন দেওয়া হচ্ছেনা। কেবল প্রথম মাসে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণের দায়িত্বে নিয়োজত কন্ট্রাক্টর এ বেতন দিয়েছিল বলে তিনি জানান।

গত মাসে এক ঝড়ো হাওয়ায় মসজিদটির মাইক ভেঙ্গে পড়লেও আজো তা ঠিক করা হয়নি।তবে দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দিয়েছে গঠিত কমিটি।কমিটির এক সদস্য বলেন,মসজিদেও সকল কাজ দ্রুত সম্পন্ন হওয়ার পরই মসজিদ কমিটি মসজিদ পরিচালনার ব্যাপারে দায়িত্ব গ্রহণ করবে।

উল্লেখ্য যে গত পবিত্র মাহে রমজানে গণিত বিভাগের শিক্ষক হাফিজুর রহমান সেরিম সহ বেশ কিছু উৎসাহী এবং উদ্যোগী ধর্মপ্রাণ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারির প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কেন্দ্রীয় মসজিদটি চালু হয়।যা আজো চালু রয়েছে।তবে এটিকে আরো উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে মাননীয় উপাচার্যকে সভাপতিড. একে এম নূর উন নবী কে রেখে সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি এক মহান উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।



মন্তব্য চালু নেই