বেরোবি’র কেন্দ্রীয় মসজিদের উদ্বোধন আগামী ১৩ মে

এইচ.এম নুর আলম, বেরোবি প্রতিনিধি : অবশেষে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আগামী ১৩ মে। গত ২মে কেন্দ্রীয় মসজিদ কমিটি ও অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সূত্রে জানা গেছে।
মসজিদ উদ্বোধন সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে আহ্বায়ক ও কাউন্সিল শাখার সহকারি রেজিস্ট্রার ময়নুল আজাদকে সদস্যসচিব ও মসজিদের অন্যান্য সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটিকে আনুসঙ্গিক কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইব্রাহীম কবীর বলেন, ‘ইতোমধ্যে মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন নিয়োগ হয়ে গেছে। আগামী রবিবার অথবা সোমবার তাঁরা যোগদান করবেন বলে আশা প্রকাশ করা যাচ্ছে। আগামী ১৩ মে মসজিদ উদ্বোধন করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।’

মসজিদ কমিটির এক সদস্য জানান, ইতোমধ্যে মসজিদ উদ্বোধনের জন্য প্রয়োজনীয় বেশ কিছু সরঞ্জাম কেনা হয়েছে। মসজিদ উদ্বোধনের পূর্বেই অবশিষ্ট সরঞ্জাম কিনে সব কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ঐ সদস্য। ইতোমধ্যে বাজেটকৃত ২ লাখ টাকা দিয়ে মসজিদের কার্পেট, মিম্বার, মসজিদের মাইক, জেনারেটর, তসবি , কুরআন শরীফসহ অন্যান্য জিনিস কেনা হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে।

গত ২মে সোমবার অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটে ইমাম ও মুয়াজ্জিন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।আগামী ১৩ মে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী,কর্মকর্তা-কর্মচারির উপস্থিতিতে জুমার নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে। ফলে শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে হল আবাসিকদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তির পরিসমাপ্তি ঘটবে আশা করা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য যে, ১ম পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ২২ টি প্রকল্পের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) ২০০৮ সালের ১৯ আগষ্ট ৯৯ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাশ হয়। যেখানে ৫০০ স্কয়ার মিটার জায়গাবিশিষ্ট মসজিদ স্থাপনের জন্য তিন তলা ভবনের নিচ তলার জন্য ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা বাজেট নির্ধারন করা হয়। মসজিদটির নির্মান কাজ শেষ হওয়ার তারিখ ছিলো ২০১২-১৩ অর্থ বছরের ১৩ জুন। নির্মান কাজের কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছিলো ২০১১ সালের ২৩ মার্চ।

২০১৪ সালে মসজিদটি তারাবীহ নামাজের মধ্য দিয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন না হওয়ায় এখন পর্যন্ত খোলা মাঠে নামাজ আদায় করছেন সমবেত মুসল্লিরা।



মন্তব্য চালু নেই