বেশি দামে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছেন জাবি শিক্ষার্থীরা

শাহাদত হোসাইন স্বাধীন, জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) খাবারের দোকানগুলোতে চড়া দামে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা খাবার বিক্রি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যান্টিনে খাবারের দাম নির্ধারিত থাকলেও ক্যাম্পাসের অন্য খাবারের দোকানগুলোতে কোনো দাম নির্ধারণ করা হয়নি। ফলে প্রশাসনের কোনো প্রকার নজরদারি না থাকায় দোকানের মালিকরা যে যার মত করে দাম নির্ধারণ করে নোংরা খাবার বিক্রি করছেন। এমনকি একদিনের রান্না করা খাবার অন্যদিন বিক্রি করছেন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, প্রত্যেক দোকানে একই খাবার বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। বেশকিছু দোকানে ৩০ টাকায় মাছ বিক্রি করা হলেও অন্য দোকানগুলোতে ৩৫ টাকা। মুরগির মাংস ব্রয়লার ৪০ টাকা, দেশি মুরগি ৮০ থেকে একশ টাকায় বিক্রি করছে। গরুর মাংস কেউ ৫০ টাকা বা ৬০ টাকায় বিক্রি করছে। ডিম ১৫ টাকায় বিক্রি করছে। যে কোন ধরনের সবজি ১৫ থেকে ২০ টাকা। খাসির মাংস ৭০ থেকে ৯০ টাকা। ডাল বা ভাজি ১০ থেকে ১৫ টাকা। মাছ ও মাংসতে বেশি লাভ হওয়ায় সবজি বেশি রান্না করা হয় না বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা। খাবারের দোকানগুলোর পেছনে রান্না করার জায়গাগুলো বেশিরভাগ সময় থাকে অপরিস্কার ও নোংরা পরিবেশ।

সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈমুল হাসান অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রতিদিনের নাস্তা কিংবা খাবারে ডিম হচ্ছে শিক্ষার্থীদের নিত্যসঙ্গী। যার বাজার দর ৭ টাকা হলেও ভাজি বা রান্না করা ডিমগুলোর দাম ১৫ টাকা রাখা হয়। এতে দেখা যায় দোকানদের লাভের পরিমাণ ডাবলের থেকেও বেশি হয়’।

এদিকে অধিক মুনাফায় খাবার বিক্রির কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দোকানীদের বাকবিতর্ক হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানী বলেন, ‘আমাদের কিছু করার নেই। ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা ফাও খাওয়ার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে একটু দাম বেশি রাখতে হয়। না হলে আমরা ব্যবসা করতে পারবো না’।

শহীদ রফিক-জব্বার হলের শিক্ষার্থী আশরাফুল আলম বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেন প্রত্যেকটি খাবারের দাম নির্ধারণ করে দেয় এবং নির্ধারিত দামে খাবার বিক্রি হয় কি না এর জন্য একটা মনিটরিং কমিটি গঠন করা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘নতুন কিছু দোকান হওয়ার কারণে হয়ত তারা দাম বেশি নিচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।



মন্তব্য চালু নেই