বোমার ঘায়ে রক্তাক্ত শৈশব, তবু শান্তিতেই ঘুমান প্রেসিডেন্ট!

দেশ যখন একের পর এক হামলায় বিপর্যস্ত, তখন কেমন থাকেন রাষ্ট্রপ্রধানরা? তাঁরা কি শান্তিতে থাকতে পারেন! পারেন স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে? এরকম কৌতূহল থেকেই সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আল আসাদের কাছে এ প্রশ্ন রেখেছিলেন এক সাংবাদিক। যে সিরিয়া যুদ্ধে, শিশু মৃত্যুতে বিপর্যস্ত তার প্রেসিডেন্ট কিন্তু জবাব দিলেন, তিনি শান্তিতেই ঘুমান।

ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে সিরিয়ায়৷ তার মধ্যে প্রায় পঞ্চাশ হাজারই শিশু৷ শুধু যে বুলেটেই তাদের মৃত্যু হয়েছে এমনটা নয়৷

যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার যা অবস্থা, তাতে না আছে খাবার, না আছে চিকিৎসার সুযোগ সুবিধা৷ ফলে বোমা-গুলি ছাড়াও মৃত্যু হচ্ছে অসংখ্য শিশুর৷ সংক্রমণেও মৃত্যু হচ্ছে বহু শিশুর৷ এর সঙ্গে যোগ হয়েছে শরণার্থী সমস্যাও।

এই যখন অবস্থা তখন রাষ্ট্রনায়কের চোখের ঘুম উড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক৷ অন্তত সেরকমটাই ধারণা বাকিদের৷ কিন্তু এ তো একদিনের বিষয় নয়৷ দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চলতে থাকা সমস্যা৷ তাহলে কেমনভাবে জীবন যাপন করেন একজন রাষ্ট্রপ্রধান৷ প্রশ্ন শুনে হাসি ফুটে ওঠে আল আসাদের মুখে৷ ওই সাংবাদিককে তিনি জানিয়েছেন, প্রশ্নের আড়ালে লুকিয়ে থাকা প্রশ্নটিকে তিনি ঠিকই চিনতে পেরেছেন৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি জানাচ্ছেন, তিনি স্বাভাবিক ভাবেই খাওয়া-দাওয়া করেন, শান্তিতেই ঘুমান।

অর্থাৎ বাইরে যখন বোমার আঘাতে ছটফট করতে করতে প্রাণ হারাচ্ছে কোনো শিশু, সংক্রমণে পচে যন্ত্রণায় মরছে হাজার হাজার বাচ্চা, তখন শান্তিতেই থাকেন রাষ্ট্রপ্রধান৷ বলা ভাল, সেটাই নিয়ম৷ এ পৃথিবী যে বড় বিচিত্র, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ কবিগুরুর বিখ্যাত ছোটগল্পে একটি লাইন রয়েছে না, ‘এ জীবনে কে কার?’ -সংবাদ প্রতিদিন।



মন্তব্য চালু নেই