বেড়েছে ডাল ও পাম অয়েলের দাম

দুই চারদিন আগেও রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হতো ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। শুক্রবার তা বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪৫ টাকায়। কয়েকদিনের ব্যবধানে ডালের দাম প্রতিকেজিতে বেড়েছে ১৫ টাকা। শুধু দেশি ডাল নয় আমদানি করা ডালের দামও বেড়েছে। ডালের পাশাপাশি এবার পাম ওয়েলের দামও সামান্য বেড়েছে।

শুক্রবার খুচরা বাজারে তুরস্ক ও কানাডা থেকে আমদানি করা বড় দানার প্রতিকেজি ডাল ৯৫ টাকা থেকে ১০০ টাকায়, মাঝারি দানা ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। যা আগের শুক্রবার বাজারে বিক্রি হয়েছে বড় দানা ৯০ টাকা থেকে ৯৫ টাকা এবং ছোট দানা ৯৫ টাকা থেকে ১০০ টাকায়। অর্থাত সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি আমদানি করা ডালে বেড়েছে ৫ টাকা।

ডাল ছাড়াও বাজারে লুজ পাম অয়েলের দাম প্রতি লিটারে বেড়েছে ৩ টাকা থেকে ৫ টাকা। শুক্রবার প্রতি লিটার ৫৮ টাকা থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকায়।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে ডাল কিনতে হচ্ছে বলে খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে। তবে পাইকারি ব্যবসায়িরা ডাল বাড়ার প্রকৃত কারণ তুলে ধরতে পারেনি।

ডালের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ ডাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দাম বাড়ার বিষয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বাজারে পেঁয়াজের দাম আগে সপ্তাহের চেয়ে সামান্য কমেছে। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকায়। যা আগের সপ্তাহে ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়। যা আগের সপ্তাহে বিক্রি হতো ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম কেজিতে সর্বনিম্ন ৫ টাকা কমেছে।

বাজারে নতুন রসুন ওঠা শুরু হওয়ার পর থেকে আমদানি করা রসুনের দাম স্থির রয়েছে। খুচরা বাজারে আমদানি করা প্রতিকেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। যা আগের সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।

এদিকে বাজারে ডিমের দাম কমে স্থির রয়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি হালি ব্রয়লার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকায়। পাইকারি বাজারে ব্রয়লার মুরগির একশ ডিম ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায় (একশ)।

বাজারে কিছু কাঁচাপণ্য তুলনামূলক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বেশ কিছু পণ্যের দাম আগের সপ্তাহের চেয়ে সামান্য বেড়েছে। রাজধানীর স্বামীবাগ, খিলগাঁও, মালিবাগ, শান্তিনগর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, মানভেদে প্রতিকেজি বেগুন ১৫ থেকে ২০ টাকায়, সাদা গোলাকার বেগুন ২০ টাকায়, গাজর ১৫ থেকে ২০ টাকায়, খিরাই ১৫ থেকে ২০ টাকায়, ঝিঙে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় (গত সপ্তাহে ছিল ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা), চিচিঙ্গা ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, পেঁপে ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকায়, ধুন্দল ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, শালগম ২৫ থেকে ৩০ টাকায় (গত সপ্তাহে ছিল ২০ থেকে ২৫ টাকায়), মূলা ১৫ থেকে ২০ টাকায়, বরবটি ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, কচুর ছড়া ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকায়, লতি ২০ টাকা ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তুলনামূলক বেশি দামে মরিচ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় (গত শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা), টমেটো ২০ থেকে ২৫ টাকায় (গত শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা), করলা ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, ঢেঁড়স ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়, উচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, পটল ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে প্রতিটি ফুল কপি ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকায় (ছোট) এবং ২৫ টাকায় (বড়) বিক্রি হচ্ছে। পাতা কপিও একই দামে বেচাকেনা হতে দেখা গেছে। বাজারে প্রতিটি বড় লাউ ৩০ টাকায় এবং ছোট লাউ ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি ছোট কুমড়া ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা এবং বড় কুমড়া ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা থেকে ১৬০ টাকায়। গরুর ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতিকেজি গরুর মাংস ৩৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি খাসির মাংস ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সয়াবিন তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে প্রতিকেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৪৫৫ টাকায়। এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯২ টাকা থেকে ৯৫ টাকায়।



মন্তব্য চালু নেই