বৈদ্যুতিক টাওয়ারের মাথায় কী করছে তরুণী?

দুই লাখ ৩০ হাজার ভোল্টের এক শ ৩৩ ফুট উঁচু বৈদ্যুতিক টাওয়ার। তার নিচে চারপাশে হাজার মানুষের ভিড়। সবার চোখ ওপরের দিকে। এ টাওয়ারের চূড়ায় যে দাঁড়িয়ে আছে এক তরুণী। চারদিকে হইচই, চিৎকার। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সেখানে যায়। তাঁরা প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে তরুণীকে নিচে নামিয়ে আনেন।

গত শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শিমরাইল মোড়ের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ওই তরুণীর নাম পারুল আক্তার (২২)। টাওয়ার থেকে নামানোর পর ওই তরুণীকে হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পারুলের শাশুড়ি সাজেদা বেগম দা​বি করেন, পারুল মানসিক ভারসাম্যহীন।

প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বলেন, আজ বেলা তিনটার দিকে পারুল ওই টাওয়ারে ওঠা শুরু করেন। উঠতে উঠতে টাওয়ারের প্রায় চূড়ায় ওঠে যান। লোকজন চিৎকার করে তাঁকে নামতে বলেন। কিন্তু তিনি কারও কথায় কান দিচ্ছিলেন না। কিছুক্ষণের মধ্যে টাওয়ারের নিচে জমে গেল হাজার মানুষের ভিড়। শুরু হয় হইচই। কেউ কেউ হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে ছিলেন তরুণীর দিকে।

পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে সেখানে যায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি স্থানীয় বিদ্যুৎ কার্যালয়ে জানায়। এরপর পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) কার্যালয়ের মাধ্যমে ওই টাওয়ারে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে ওই তরুণীকে নিচে নামিয়ে আনেন। তারপর তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

পিজিসিবির সিদ্ধিরগঞ্জ কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী আল-আমিন জানান, দুই লাখ ৩০ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ সঞ্চালন টাওয়ারটির উচ্চতা এক শ ৩৩ ফুট। খবর পেয়ে টাওয়ারে বিদ্যুৎ সঞ্চালন প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়েছিল।

তরুণী পারুলের গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর পুঠিয়া থানার কুটিয়ার পাড়ায়। স্বামী ইয়াদ উল্লাহ সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলো রোড এলাকার একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক।



মন্তব্য চালু নেই