বৈশাখী উৎসব আর ব্রহ্মপুত্র নদে পুণ্যার্থীদের স্নান ছিল জঙ্গিদের টার্গেট

ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার জঙ্গিরা বৈশাখী উৎসব ও ব্রহ্মপুত্র নদে পুণ্যার্থীদের স্নানের সময় বড় ধরণের কোনও নাশকতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। এ কারণেই তারা শহরের কালিবাড়ি এলাকায় আস্তানা গেড়েছিল বলে পুলিশী হেফাজতে স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) নূরে আলম।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) নূরে আলম জানান, গ্রেফতারকৃত ৭ জঙ্গিই জেএমবি প্রধান শায়েখ আব্দুর রহমানের অনুসারী এবং নব্য জেএমবি’র সদস্য। তারা শহরের কালিবাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে আস্তানা গেড়েছিল। গ্রেফতার হওয়া নেত্রকোনার মাসুম আহমেদের নামে বাসা ভাড়া ও প্রাণ গ্রুপের ডিস্ট্রিবিউটর এজেন্সিও নেওয়া হয়। এখানে তারা ব্যবসার আড়ালে বিভিন্ন এলাকায় রেকি করে সদস্য সংগ্রহের কাজ করে যাচ্ছিল। তবে তাদের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিল হালুয়াঘাটের মারফত আলীর ছেলে শহিদুর রহমান রতন।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে আসন্ন বৈশাখী উৎসব ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পুণ্য স্নান তাদের টার্গেট ছিল। পুলিশী হেফাজতে জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চলছে। গ্রেফতারকৃত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হবে। কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাগুলো করবেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।

সিলেট, মৌলভীবাজার ও কুমিল্লার পর ময়মনসিংহে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান ও গ্রেফতারের ঘটনায় সাধারণ মানুষ চিন্তিত। তাদের প্রশ্ন তারা কিভাবে চার মাস ধরে কালিবাড়ির এ বাসায় অবস্থান করে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল।

স্থানীয় প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক গোলাম হক জানান, স্কুলের কাছে জঙ্গি আস্তানা গেড়েছিল এটা চিন্তাই করা যায় না। জঙ্গিদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে শিক্ষার্থীসহ সবাইকে সচেতন হতে হবে।

উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার ময়মনসিংহ নগরীর বড় কালিবাড়ি এলাকার অ্যাডভোকেট আসিফ আনোয়ার মুরাদের বাসায় অভিযান চালিয়ে জেহাদি বই ও ইলেকট্রোনিক সামগ্রীসহ ৭ জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।



মন্তব্য চালু নেই