বৈশ্বিক বাজার দখল করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসায়ীদের পণ্য ও ইন্ডাস্ট্রি বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বৈশ্বিক বাজার দখল করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা হয়ত একটি পণ্য বিশেষভাবে ধরে বসে থাকি। শুধু এটাই মনে করি- এটাই বুঝি চিরদিন বাজার পাবে, রফতানি পাবে। এটা কিন্তু না। আমাদের পণ্য বহুমুখীকরণ করতে হবে এবং বাজার খুঁজতে হবে।

‘পৃথিবীর কোন দেশে কী কী পণ্যের চাহিদা আছে- সেটাও আমাদের জানতে হবে। সেই চাহিদা অনুসারে কোন কোন পণ্য রফতানি, উৎপাদন বা প্রক্রিয়াজাতকরণ সম্ভব, রফতানি করা সম্ভব- সেই দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে।’

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে শুক্রবার ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ব্যবসাবান্ধব সরকার। আমরা ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি করে দেই। এ জন্য আমাদের যুব সমাজকে কাজে লাগাতে হবে।

তিনি বলেন, তিনি ব্যবসা করতে আসেননি। দেশের উন্নয়নে কাজ করতে এসেছেন। ব্যবসায়ীদের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে এসেছেন।

গবেষণা করে সব অসাধ্য সাধন করা যায়- দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার গবেষণার উপর গুরুত্ব দেয়। ফলে আজকে বাংলাদেশে ১২ মাস বিভিন্ন কৃষি পণ্য বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। যে সব সবজি শুধু শীতকালীন হিসেবে পরিচিত ছিল, আজকে কিন্তু এগুলো ১২ মাস উৎপাদন করছি।’

গার্মেন্টস শিল্পপার্ক নির্মাণের প্রসঙ্গ তুলে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বহু আগে জায়গা দিয়েছি, কিন্তু তাদের যেন একটু গরজের অভাব। তারা একটা পয়সাও খরচ করতে চান না। নিজেদের কিছু খরচ করতে হবে, আমরাও কিছু দেব- তবেই একটি ভালো পোশাক পল্লী হবে। লাভবান আপনারা ব্যবসায়ীরাই হবেন।’

বক্তব্য শেষে বাণিজ্য মেলার সফলতা কামনা করে শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশীষ বোস। এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআিই’র সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।

এবারের মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, চীন, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ২১টি দেশ অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে নতুন দেশ আছে সাতটি। এগুলো হলো- মরিশাস, ঘানা, নেপাল, হংকং, জাপান, মরক্কো ও ভুটান।

১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া মেলা চলবে এক মাস। মেলায় প্রবেশের জন্য পূর্ণবয়স্কদের প্রবেশ ফি ৩০ টাকা ও শিশুদের ২০ টাকা। মেলায় থাকছে ১১১টি প্যাভিলিয়ন, ৫৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ৮০টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ও ২৭৬টি স্টল।



মন্তব্য চালু নেই