ব্যবসায়ী নেতারা আশাবাদী

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৩৬ ঘন্টা বাংলাদেশ সফরে যেসব চুক্তি হয়েছে, তা দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে বলে আশাবাদী দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা।

নরেন্দ্র মোদির এই সফরে দুই দেশের মধ্যে ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছে। এর ফলে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমবে। একইসঙ্গে বিশ্বায়নের যুগে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে কানেক্টিভিটি গুরুত্ব পাবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। আর যত দ্রুত সম্ভব পাশের দেশগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ বিষয়ক চুক্তির বাস্তবায়নও জরুরি বলে মনে করছেন তারা।

এসব চুক্তি সম্পাদনের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, ‘যে চুক্তিগুলো হয়েছে তা দু’দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এসব চুক্তির মাধ্যমে যে ট্রেড গ্যাপ রয়েছে তা অনেকটাই কমে যাবে।’

দেশের শীর্ষ এই ব্যবসায়ী নেতা জানান, বেসরকারি খাতে যৌথ ‘ওয়ার্কিং গ্রুপ’ করার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানানো হয়েছে। এটি হলে বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ আরও সহজ হবে এবং ভারতেও বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়বে।

এ প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীদের শীর্ষস্থানীয় আরেকটি সংগঠন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি হোসেন খালেদ বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদির সফর অত্যন্ত ইতিবাচক। তার সফরে যেসব চুক্তি হয়েছে তা আমাদের (ব্যবসায়ীদের) জন্য প্লাস পয়েন্ট। তবে এগুলো বাস্তবায়নে সময়সীমা নির্ধারণ করা উচিত ছিল।’

ভেড়ামারায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে হোসেন খালেদ বলেন, ‘এর মধ্য দিয়ে এলাকার অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হবে। কর্মসংস্থানের পাশাপাশি কুষ্টিয়া তথা দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। ভেড়ামারায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা হলে শুধু বিদেশি প্রতিষ্ঠানই নয়, দেশের অনেকেই এখানে বিনিয়োগে আগ্রহী হবে।’

দুদিনের এ সফরে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বর্তমানে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গেছে বলে মনে করেন বিজিএমইএ’র প্রাক্তন সভাপতি এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদি।

তিনি বলেন, ‘এ সফরে আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি বিষয়টি উঠে এসেছে। বিশ্বায়নের এ যুগে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে কানেক্টিভিটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপের দেশগুলো আরও শক্তিশালী হওয়ার জন্য তাদের কারেন্সিও এক করে ফেলেছে। এমনটা আমাদের মধ্যে হলে, আমদানি-রপ্তানি থেকে শুরু করে উভয় দেশের সব ক্ষেত্রেই উন্নয় বৃদ্ধি পাবে।’

ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) সভাপতি মোহাম্মাদ আলী বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি একজন ব্যবসাবন্ধব মানুষ। তাই এ সফরে বাণিজ্য সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে। যা দু’দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

প্রসঙ্গত, মোদির ৩৬ ঘন্টার সফরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, উপকূলীয় জাহাজ চলাচল ও দুই রুটে বাস চলাচলের বিষয়ে চারটি চুক্তিসহ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মোট ২২টি চুক্তি, প্রটোকল ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।রাইজিংবিডি



মন্তব্য চালু নেই