ব্যবসায়ী হত্যা: এসআইসহ ১১ আসামি কারাগারে

গাজীপুরের কালীগঞ্জে পুলিশের সামনে বালু ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ কর্মী মামুন ভূঁইয়াকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) ১১ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় চার্জশিটভূক্ত ১১ আসামি সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৯ মে সন্ধ্যায় উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুরের গোপাল মেম্বরের বাড়ির পাশে বড়গাঁও গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে বালু ব্যবসায়ী ও যুবলীগ কর্মী মামুনকে পুলিশ গ্রেপ্তারের পর হাতকড়া পরিয়ে প্রতিপক্ষের হাতে তুলে দেয়। পুলিশের সম্মুখে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হলে তৎকালীন কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিপেন কুমার দে মামুনের হাত থেকে হাতকড়া খুলে নিয়ে থানায় চলে আসেন।

এ ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে মামুনের ভাই নাজমুল বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে বিভাগীয় ভাবে হত্যার ঘটনাটি একাধিকবার তদন্ত করা হয়। সে সময় মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পরে মামলাটি সিআইডি তদন্ত শেষে চলতি বছরের ১২ জুলাই ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

এ মামলায় ছয় আসামি জামিনে থাকলেও সোমবার উপ-পরিদর্শক নিপেন, মেম্বর হেকিম ফরাজী, বাদল, শহীদুল্লাহ শাহী, ফাজু, আল আমিন, গাফফার, মুনসুর আলীসহ ১১ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থণা করেন। তবে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

চাঞ্চল্যকর এ খুনের ঘটনাটি মানবাধিকার কমিশনের অনুরোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি (উপ-সচিব সাফিনা খানম) তদন্ত শেষে এসআই নিপেনকে আসামি করার সুপারিশ করলে সিআইডি তাকে চার্জশিটের অন্তর্ভূক্ত করে।



মন্তব্য চালু নেই