ব্যাংক লুট এবং তেল বেচে আইএসের বিলিয়ন ডলার কামাই

ইসলামিক স্টেট তাদের আয়ের মূল উৎস তৈরি করেছে ইরাক ও সিরিয়াতে ব্যাংক ডাকাতি এবং চোরা বাজারে তেল বিক্রি করে। তাদের এই বিক্রি করা তেলই বিভিন্ন বন্দর ঘুরে শেষ পর্যন্ত গিয়ে হাজির হচ্ছে ইউরোপ এবং আমেরিকায়।

বৃহস্পতিবার লন্ডনের চাথাম হাউসে আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত এক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের একজন কোষাগার কর্মকর্তা অ্যাডাম জুবিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরাক এবং অন্যান্য মিত্রবাহিনীর সাথে যৌথভাবে কাজ করে আইএসের অর্থনৈতিক আদানপ্রদান বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য মতে, ইরাক এবং সিরিয়াতে ব্যাংক লুট এবং চোরা বাজারে তেল বিক্রি করে ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কামিয়ে নিয়েছে ইসলামিক স্টেট। এর মধ্যে ৫শ কোটি টাকা তারা পেয়েছে চোরা বাজারে তেল বিক্রি করে এবং বাকি ১ হাজার কোটি টাকা এসেছে ব্যাংকের সিন্দুক থেকে। এছাড়াও যে সমস্ত এলাকার মানুষ তাদের অধীনে রয়েছে তাদের কাছ থেকেও লাখ লাখ টাকা তারা কেড়ে নিয়েছে।

জুবিন আরো বলেন, শুধুমাত্র ২০১৫ সালেই অর্থনৈতিক দিকগুলো সামাল দেয়ার জন্য প্রায় ৩০ জন উচ্চপর্যায়ের নেতা নির্ধারণ করেছে আইএস। তারা যে ধন সম্পত্তির দিক থেকে সবল সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই কিন্তু তাদের দুর্বলতাও রয়েছে। যে ধরণের বহুমুখী যুদ্ধে তারা লিপ্ত রয়েছে তাতে তাদের অর্থনীতিক স্থিতিশীলতা দরকার। অর্থনীতিক অস্থিতিশীলতা তাদের একটা বড় দুর্বলতা এবং আমরা ঠিক এটাকে লক্ষ্য করেই অগ্রসর হচ্ছি।

জুবিন বৃহস্পতিবার এই ভাষণ দিয়েছেন এবং একইসাথে যৌথবাহিনীর বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন আইএসের অর্থমন্ত্রী আবু সালাহ। আবু সালাহ ছিলেন আইএসের পুরনো এবং অভিজ্ঞ সদস্য।



মন্তব্য চালু নেই