ব্যাচেলরদের বাসা ছাড়ার নির্দেশনা দেয়নি পুলিশ

রাজধানী ঢাকায় ব্যাচেলরদের বাসা বা মেস ছাড়ার বিষয়ে বাড়িওয়ালাদের কোনো নির্দেশনা দেয়নি পুলিশ। তবে ভাড়াটিয়াদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহে রাখার কথা বলা হয়েছে।

শনিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখায় ডিসি মাসুদুর রহমান এ তথ্য জানান।

সম্প্রতি কল্যাণপুরে একটি ব্যাচেলর বাসায় জঙ্গি আস্তানার খোঁজে ওই এলাকায় ব্যাচেলরদের বাসা ভাড়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া পুরো রাজধানীতেই ব্যাচেলরদের ভোগান্তির কথা শোনা যাচ্ছে। অনেককেই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিয়ে দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ভাড়াটিয়া ভাড়াটিয়াই, কে ব্যাচেলর কে বিবাহিত সেটা বড় কথা নয়। মূল বিষয়টা হল ভাড়াটিয়াদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহে রাখা। ব্যাচেলরদের বাসা থেকে নামিয়ে দিতে বা বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিতে কোনোরকম নির্দেশনা দেয়া হয়নি। বাড়ির মালিক কাকে ভাড়া দেবেন নাকি দেবেন না, এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমরা শুধু চাই সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।’

যেসব জায়গায় এখন পর্যন্ত জঙ্গি আস্তানা পাওয়া গেছে সবগুলোতেই বিস্ফোরক পাওয়া গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই বিস্ফোরকগুলো বিস্ফোরিত হলে জঙ্গিরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হতো, তেমনি প্রতিবেশিরাও। এজন্যই বাড়িওলাদের বলেছি, পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহে রাখুন।’

পুরো রাজধানী শহরেই ‘ব্লক রেইড’ চলছে। রেইডের সময় বাসা ও মেসবাড়িগুলোতে বাসিন্দাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) চাওয়া হচ্ছে। যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি, এনিয়ে তাদের অনেক ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মাসুদুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে না থাকলে জন্মসনদ বা স্থানীয় চেয়ারম্যানের নাগরিকত্ব সনদ সাথে রাখবেন।’

ভাড়াটিয়াদের ফরম জমা নেয়ার পর পুলিশ কোনো রিসিভ কপি দিচ্ছে না। এগুলো হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে পরে বাড়িওয়ালার ওপর দোষারোপ হতে পারে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জমা নেয়ার পর তথ্য যাচাই বাছাই শেষে প্রত্যেক বাড়িওয়ালাকেই রিসিভ কপি দেয়া হবে।’



মন্তব্য চালু নেই