ব্যান্ডেজ কখন প্রয়োজন?

১। যদি শরীরের কোন অংশে আঁচড় লাগে বা ছিলে যায় তাহলে সেই স্থানটি কলের পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর তোয়ালে দিয়ে মুছে নিয়ে একটি ব্যান্ডেজ লাগিয়ে নিন।

২। আক্রান্ত স্থানটি সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন বা জীবাণুনাশক দিয়েও মুছে নিতে পারেন।

৩। হালকা আঘাতের ক্ষেত্রে সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য অ্যান্টিবায়টিক অয়েন্টমেন্ট ব্যবহার করতে পারেন।

৪। আঘাতের স্থানটির রক্তপাত বন্ধ করার জন্য পরিষ্কার কাপড় বা গজ দিয়ে চেপে ধরুন। যদি কাপড়টি ভিজে উঠে তাহলে আরো কাপড় বা গজ দিয়ে স্থানটি চেপে ধরুন। যদি ১০ মিনিটের মধ্যে রক্ত বন্ধ না হয় তাহলে আপনাকে নিকটস্থ হাসপাতাল এর ইমারজেন্সি বিভাগে যেতে হবে।

৫। যদি আঘাতটি খুব গভীর হয় তাহলে ড্রেসিং ও সেলাই লাগতে পারে। তাই নিজে চিকিৎসা না করে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিৎ।

৬। যদি পেরেক, তামার তার বা কাঁচ এ লেগে আঘাত পেয়ে থাকেন তাহলে অ্যান্টি-টিটেনাস ইঞ্জেকশন নিয়ে নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এটি ইনফেকশন প্রতিরোধ করবে।

৭। আক্রান্ত স্থানে কাঁচ বা কাঁটা বা অন্য কিছু আটকে থাকলে তা বাহির করে নিন চিমটা দিয়ে।

৮। আঘাত প্রাপ্ত স্থানটি থেকে যদি পুঁজ বের হয় তাহলে ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। এমন অবাস্থায় ডাক্তারের সাথে কথা বলুন এবং মেডিকেটেড ব্যান্ডেজ ব্যবহার করুন।

৯। আঘাত ও ব্যথার পরিমাণ বেশি হলে চিকিৎসক অ্যান্টিবায়টিক খেতে দিবেন। তবে নিজে নিজে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করবেন না। এতে বিপত্তি ঘটতে পারে।

১০। আঘাতপ্রাপ্ত স্থানটি যদি এমন স্থানে হয় যে ময়লা হওয়ার বা কাপড়ের ঘষা লাগার সম্ভাবনা না থাকে তাহলে সেখানে ব্যান্ডেজ না দিয়ে খোলা রাখাই ভালো। এর ফলে স্থানটি দ্রুত শুকাবে ও নিরাময় প্রক্রিয়া দ্রুত হবে।

১১। যদি আঘাতের স্থানটি হাতে বা পায়ের এমন অংশে হয় যেখানে ধুলাবালি লাগার ও কোন কিছুর সংস্পর্শে আরো খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে অ্যাডহেসিভ ব্যান্ডেজ লাগিয়ে রাখুন। প্রতিদিন অথবা ভিজে নোংরা হয়ে যাওয়া মাত্রই ব্যান্ডেজটি পরিবর্তন করে নিন।

যদি মানুষ বা জন্তুর কামড় দেয়ার ফলে ক্ষত হয়, যদি কেটে যাওয়া স্থানটি অবশ মনে হয়, যদি জ্বর আসে, যদি আক্রান্ত স্থানটি লাল হয়ে যায়, যদি মুখে আঘাত লাগে তাহলে চিকিৎসকের সাহায্য নেয়া জরুরী।



মন্তব্য চালু নেই