ব্রাসেলস বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ, নিহত ১১

বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের জাভেতেম বিমানবন্দরে দুটি বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে বিবিসি। মঙ্গলবার সকালের ওই ঘটনায় ১১ জন নিহত এবং আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে ওই বিস্ফোরণের কারণ জানা যায়নি।

স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলে বিস্ফোরণে ১১ জন নিহত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ খবরের সত্যতা স্বীকার করেছে বেলজিয়ামের ফেডারেল পুলিশ। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অনেকে। এর আগে স্থানীয় দমকল কর্মীরা একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিল।

এদিকে এন্থোনি বারেত নামের এক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল আটটার দিকে তিনি টার্মিনাল সংলগ্ন হোটেল থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। তার ভাষায়,‘আমি হোটেল রুমের জানালার পর্দা সরিয়ে দেখি, ভয়ার্ত লোকজন টার্মিনাল ভবন থেকে ছুটে পালাচ্ছে।’ তিনি স্ট্রেচারে করে ১৯/২০ জনকে বহন করে নিয়ে যেতে দেখেন বলেও দাবি করেছেন। তিনি এটিকে ‘ভয়াবহ গুরুতর ঘটনা’ হিসেবেও উল্লেখ করেছেন। তবে কি কারণে ওই বিস্ফোরণ দুটি হয়েছে এবং এর সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের কোনো সম্পর্ক রয়েছি কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়।

ব্রাসেলসের সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে জাভেতেম বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবন থেকে ধোঁয়া ওঠতে দেখা গেছে। এখানে সেখানে ছড়িয়ে রয়েছে জানালার ভাঙা কাচ। বিস্ফোরণের পর আতঙ্কিত লোকজনকে দ্রুত ওই এলাকা ত্যাগ করতেও দেখা গেছে। এটি দেশের প্রধান অন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

বিবিসি বলছে, বিস্ফোরণের পর বিমানবন্দরটি থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এটিকে চারপাশ থেকে ঘিরে রাখা হয়েছে। আপাতত এখানে বিমান ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। বিমানবন্দরের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাটিও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

একজন সরকারি কর্মকর্তা স্থানীয় সরকারি প্রচার মাধ্যমে ওই বিস্ফোরণকে হামলা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরের আমেরিকান এয়ারলাইন্সের চেক ইন কাউন্টারের কাছে বিস্ফোরণ দুটি হয়েছে।

এ ঘটনার মাত্র চারদিন আগে প্যারিস হামলার মূল হোতা সালেহ আবদেসসালামকে ব্রাসেলস থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে এর সঙ্গে মঙ্গলবারের বিস্ফোরণের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা তা এখনো জানা যায়নি।



মন্তব্য চালু নেই