বড় গরু কিনলে ছোট গরু ফ্রি!

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের দেওহাটা গরুর হাটে বড় গরু কিনলে ছোট গরু ফ্রি দিচ্ছেন এক গরু বেপারি। মঙ্গলবার টাঙ্গাইল জেলার অন্যতম বৃহত্তম এই গরুর হাটে বড় গরুর সঙ্গে ছোট গরু ফ্রি দেয়া হয়।

হাট ইজারাদার সূত্র জানায়, টাঙ্গাইলের গরুর বেপারি আব্দুল হাই তাদের হাটে বেশ কয়েকটি বৃহৎ আকারের গরু নিয়ে আসেন। তিনি তার বৃহৎ আকারের গরুর সঙ্গে ছোট আকারের গরু ফ্রি দেয়ার ঘোষণা দেন।

মঙ্গলবার দুপুরে বৃহৎ একটি গরুর দাম হাঁকেন ছয় লাখ টাকা। পরে তা সাড়ে চার লাখ টাকায় বিক্রি করেন এবং সঙ্গে একটি ছোট আকারের ষাড় গরু ফ্রি দেন। সাড়ে চার লাখ টাকার ওই ষাড়টি ঢাকার এক শিল্পপতি কিনেছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে মহেড়া পেপার মিলের মালিক উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের কুইচতারা গ্রামের বাসিন্দা মোশারফ হোসেন অপর এক বেপারির কাছ থেকে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকায় একটি ষাঁড় কিনলেও কোনো গরু ফ্রি দেয়া হয়নি।

মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত গরু বিক্রির জন্য দেওহাটা হাটে নিয়ে আসা হয়েছে। ক্রেতার সমাগম লক্ষ করা গেছে অনেক।

হাটের ইজারাদার গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কামারুজ্জামান বলেন, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন দেওহাটা গরুর হাট ইতিমধ্যে জেলার অন্যতম বৃহৎ গরুর হাট হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো, ব্যাপারিদের থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থা, নিরাপত্তা, সর্বোপরি গরু কেনাবেচার হাসিল কম হওয়ায় এই হাটের খ্যাতি এখন দেশজুড়ে।

সারা বছরই সপ্তাহে একদিন মঙ্গলবার এই গরুর হাট বসে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দেওহাটা গরুর হাটে বেপারিরা গরু কেনা-বেচার জন্য নিয়ে আসেন।

অন্যদিকে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে উপজেলার গোড়াই ও মির্জাপুর পৌরসভার বাইমহাটি এলাকায় অস্থায়ী দুটি গরুর হাট বসানো হলেও তা এখনো জমে উঠেনি। তবে সামনের দিনগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি বাড়বে বলে আশাবাদী হাট কমিটির লোকজন।

প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় হাটের সার্বিক পরিবেশ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন গরু কিনতে আসা বাওয়ার কুমারজানী গ্রামের মরতুজ আলী। তিনি এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা দাম দিয়ে একটি গরুও কিনেছেন বলেও জানান।

আগামী শুক্রবার থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত প্রতিদিন এই হাটে গরু কেনাবেচা হবে বলে হাট কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই