বড় ছেলেকে কুয়েত পাঠিয়ে রোজাদার বাবা গেল না ফেরার দেশে

মানিকগঞ্জ: বড় ছেলেকে কুয়েত যাবে। তাই তাকে এগিয়ে দিতে ঢাকায় এসেছিলেন বাবা আবদুল বর (৪৮)। ছেলেকে বিমানে তুলে দিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দেন তিনি। বাড়িও ফেরেন, তবে তার দেহে ছিলনা শুধু প্রাণ পাখিটা।

সোমবার সকালে মাইক্রোবাসে বাড়ি ফেরার পথে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের মহাদেবপুর এলাকায় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নিহত হন তিনি।

ফরিদপুরের বোয়ালমারি উপজেলার কমলেশ শরদি গ্রামের আলতাব হোসেন আলসু মাতব্বরের ছেলে রব চার ছেলের জনক।

এ সময় তার পরিববারের আরো তিন সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের পার্শ্ববর্তী গিলন্ড এলাকার মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তারা হলেন- আফজাল হোসেন (৪০), সোহেল রানা (৩০) ও হাসিবুল হাসান (১৭)। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের মধ্যে সম্পর্ক জানা যায়নি।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, ঢাকা হযরত শাহজালাল (র:) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে রবিবার রাত দুইটার একটি ফ্লাইটে শ্রমিক ভিসায় রবের বড় ছেলে কুয়েত গেছেন। তাকে এই বিমান বন্দরে পৌঁছে দিয়ে মাইক্রোবাসে (ঢাকা মেট্রো ট ১১-৪৩৩১) বাড়ি ফিরছিলেন রবসহ পরিবারের চার সদস্য।

চালকের পাশে সামনের আসনে বসা ছিলেন রব। সকাল সোয়া সাতটার দিকে ওই স্থানে এসে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাইক্রোবাসের সম্মুখ দুমড়ে-মুচড়ে যায়।

এতে আসনে চাপায় পড়ে রব গুরুতর আহত হলে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আর স্বজনদেরও আহত অবস্থায় মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পরপরই পালিয়ে যান চালক।

বরংগাইল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়ামিন উদ দৌল্লা জানান, মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত করে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। মাইক্রোবাস চালক হতাহতদের পরিচিত।

এই মাইক্রোবাস রিজার্ভ নিয়েই তারা বিমান বন্দরে এসেছিলেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান ইয়ামিন।



মন্তব্য চালু নেই