‘ভবিষ্যতের স্বার্থে ব্যবসায়িদের সাময়িক ত্যাগ স্বীকার করতে হবে’

ভবিষ্যত প্রজন্মকে বাসযোগ্য শহর উপহার দেয়ার জন্য যদি স্বল্পকালীন ব্যবসায়িক ক্ষতি,স্বার্থ ত্যাগ করতে হয় তবে তাই করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়িরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্যবসয়ীদের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন। ব্যবসায়িদের ত্যাগের মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। বৃহত্তর স্বর্থের দিকে তাকিয়ে দোকানপাট আবাসনের জায়গা সংস্কার করতে হয় তবে তাই করা হবে।

তিনি বলেন, প্রতিনিয়তই পাড়া মহল্লা ও মার্কেট আগুন লাগছে। এটি একটি অশনি সংকেত। এভাবে শহরকে জ্বলতে দেয়া যাবে না।

তিনি আরো বলেন, ডিএনসিসি একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। বিগত দুই বছর যাবত আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি শহরটিকে সবার বাসযোগ্য করার জন্য। তাই আপনাদের সকলের কাছে আমার অনুরোধ, শহরের বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিটি আবাসিক এলাকা, কর্মের এলাকা আমাদের নির্মোহ নজরদারীর আওতায় আনছি। কারণ নিয়ম-কানুনহীন শহরে মানুষ ব্যবসা স্বপ্ন কোনকিছুই টেকাতে পারে না।

স্বেচ্ছাচারিতা কোন শহরকেই বাসযোগ্য করতে পারে না। ট্রাফিক জ্যামে আটকে পড়লে শুধু হর্ণ বাজালেই যেমন এগুনো যায় না। তেমনি আমরা পরস্পরকে দোষারোপ করেও কোনদিন কোনকিছু সমাধান করতে পারবো না। আমাদের পরস্পরের দোষারোপ বন্ধ করতে হবে। উত্তরণের মন্ত্র একটাই । কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। যিনি এই মার্কেটে ব্যাবসা করেন তার সাথে আমার কোন স্বার্থ নেই। আমার স্বার্থ হলো তাকে সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা করতে দেয়া। আমার স্বার্থ হলো তিনি আমাদেরকে ভাড়া দেবেন।

আজ থেকে এক বছর আগেও এই মার্কেটের সমস্ত বেচাকেনা হতো লবীতে। আমাদের বারবার অনুরোধের পর এই ব্যবসায়িরা নিজেদের মধ্যে শৃঙ্খলায় এনেছেন।



মন্তব্য চালু নেই