ভর্তি ভোগান্তি নয় ‘উন্নয়নের বেদনা’

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ভোগান্তিকে ‘উন্নয়নের বেদনা’ বলে উল্লেখ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

রোববার সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ভোগান্তির কারণে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও দেশবাসীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে ভোগান্তির সব দায় নিজের কাঁধে তুলে নেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘অনলাইনে ভর্তি প্রিক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য দক্ষতা ও প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতা ছিল। এ কারণে ভর্তি কার্যক্রমে কিছু ত্রুটি হয়েছে। আমরা কম ঢাল তলোয়ার নিয়ে বড় যুদ্ধে নেমেছিলাম।’

তিনি জানান, অনলাইনে ভর্তির আবেদন করেছিলেন ১১ লাখ ৫৬ হাজার ২২৪ শিক্ষার্থী। এ পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ৯ লাখ ২৩ হাজার ১০৫ জন।

তিনি বলেন, ‘মোট চার ধাপে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে। প্রথম মেধা তালিকায় যাদের নাম ছিল তারা ২৯ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন। যারা প্রথম মেধা তালিকায় ভর্তি হতে পারেননি ও দ্বীতীয় মেধা তালিকায় নাম আসবে তারা দ্বিতীয় ধাপে ৬ জুলাই পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন এবং ৭ ও ৮ জুলাই ভর্তি হবেন। যারা মেধা তালিকায় সুযোগ পেয়েও ভর্তি হননি বা নির্বাচিত হননি তারা কোনো প্রকার ফি ছাড়াই ৫টি কলেজে আসন ফাঁকা থাকার শর্তে ৯ ও ১০ জুলাই আবেদন করতে পারবেন। ১১ জুলাই এই আবেদনের ফল প্রকাশিত হবে এবং ১২ জুলাই তারা ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। এর পরেও যারা ভর্তি হতে পারেননি বা অনলাইনে আবেদন করেননি তারা কোনো প্রকার ফি ছাড়াই ১৩ থেকে ২১ জুলাইয়ের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। ২৩ জুলাই এ আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে। ২৫ ও ২৬ জুলাই তাদের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।

ভর্তি কার্যক্রম নিয়ে মন্ত্রী ও সচিবের দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা মিলেমিশে কাজ করি। আমাদের মধ্যে কোনো মনোমালিন্য নেই। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দ্বিমত হতেই পারে। এটাই স্বাভাবিক।’



মন্তব্য চালু নেই