ভাইস চেয়ারম্যানের স্ত্রী-সন্তান পতিতালয়ে!

‘যে মেয়েটি রোজ রাতে বদলায় হাতে হাতে তার অভিশাপ নিয়ে চলাই জীবন। অন্তবিহীন পথে চলাই জীবন’। ভারতের বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী নচিকেতার এ গানটি যেন সমাজের অন্ধগলির বহু দুর্ভাগা মেয়ের জীবনে অনবদ্য উপখ্যান হয়ে আছে। তবে বাস্তব অবস্থা বলে দিচ্ছে, এসব মেয়ের অভিশাপ নিয়ে সমাজের অনেক প্রভাবশালী বেশ ভালোই আছেন। এমনকি বিয়ে করে সন্তান জন্ম দিলেও পরিচয় দিতে হচ্ছে না। নিষিদ্ধ পল্লীর মেয়ে বিয়ে করে স্ত্রীর সারা জীবনের সঞ্চিত অর্থ হাতিয়ে নিলেও কোনো শাস্তি পেতে হয়নি।

এ রকম এক ভুক্তভোগীর নাম মুন্নী। যিনি জীবনের সর্বস্ব খুইয়ে এখন সন্তানকে বুকে নিয়ে ফের ঠাঁই নিয়েছেন তার চিরচেনা দৌলতদিয়া নিষিদ্ধ পল্লীতে। যার ভেতরে থাকা চাপা ক্ষোভ এখন শুধু কান্না হয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ করতে চায় না, তিনি এখন প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে চান। চান স্ত্রীর মর্যাদা, সন্তানের স্বীকৃতি। যুগান্তরের মাসব্যাপী অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে মুন্নীর অভিশপ্ত জীবনের অজানা সব কথা।

গেল সপ্তাহে মুন্নী বেগমের সঙ্গে প্রতিবেদকের কথা হয় রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া নিষিদ্ধ পল্লীর একটি বাড়িতে। এ সময় তিনি যুগান্তরকে তার জীবনের আদ্যোপান্ত বর্ণনা করেন। বলেন, যখন এই পতিতা পল্লীতে আসেন তখন তার বয়স মাত্র ১২ বছর। সালটা মনে নেই। অভাবের তাড়নায় মায়ের হাত ধরেই এখানে আসেন তিনি। চেহারা সুন্দর হওয়ায় প্রথম থেকেই তার কদর ছিল বেশি। কিন্তু জীবনে চরম দুঃসময় নেমে আসে ৬-৭ বছর পর। সময়টা ছিল সম্ভবত ২০০৩। ওই সময় গোলাম মাহবুব রব্বানী নামে এক যুবকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে প্রেম। তারপর বিয়ের প্রস্তাব। ভাবেন, পতিতার আবার বিয়ে! কিন্তু ঘর-সংসারের মোহ তাকে সব সময় তাড়া করে ফিরত। এই বন্দি জীবন তার একদম ভালো লাগে না। একটি সন্তান আর সংসারের জন্য বুকটা সব সময় হাহাকার করত।

মুন্নীর এই হাহাকারকে পুঁজি করে মিথ্যা প্রেমের ফাঁদে ফেলে একসময় বিয়ে করে মাহবুব। তাও আবার মুখে মুখে। মন থেকে মাহবুবকে স্বামী হিসেবে মেনে নেয়ায় পতিতার জীবন ছেড়ে দেন মুন্নী। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, মুন্নীর এ স্বপ্ন শুরুতেই থমকে যায়। কোনোভাবেই সন্তান নিতে চান না মাহবুব। বেঁকে বসেন মুন্নী। বিনিময়ে মুন্নীর ওপর নেমে আসে অমানুষিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। নষ্ট করতে হয় প্রথম সন্তান। কিন্তু হাল ছাড়েননি, আবারও সন্তানের আশায় বিভোর তিনি। তাই শত নির্যাতন আর বাধা উপেক্ষা করে ফের সন্তান ধারণ করেন। কোনো বাধাই যখন মুন্নীকে আটকাতে ব্যর্থ হয়, তখন সন্তান গর্ভে আসার ৩ মাসের মাথায় মুন্নীর ঘর ছাড়ে এলাকার প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ মাহবুব। যাওয়ার আগে মুন্নীর সারা জীবনের আয়-রোজগার সবই নিয়ে যায় সে।

একসময় পতিতাপল্লীর বিদ্যুতের বিল তোলার দায়িত্ব ছিল এই মাহবুবের। সেখান থেকেই মুন্নীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয়। আর মুখে মুখে বিয়ে করার পর মাহবুব প্রথমে মুন্নীকে বলেছিল, কাজী অফিসে গিয়ে কাবিন করে দেবে। কিন্তু কিছুই দেয়নি। বরং সারা জীবনের সঞ্চয় হাতিয়ে নিয়ে তাকে একেবারে পথে বসিয়ে দেয়।

শুধু এখানেই শেষ নয়, মুন্নীর ঘর ছেড়ে সে চলে যায় মর্জিনা নামে পতিতা পল্লীর আর এক মেয়ের ঘরে। যে ছিল তার কথিত দ্বিতীয় প্রেমিকা। মুন্নীর গর্ভে সন্তান রেখে এক মাসের মধ্যে সে বিয়ে করে মর্জিনাকে। এ খবর শুনে বিনা মেঘে বজ পাত নেমে আসে মুন্নীর ঘরে।

এ রকম ভয়াবহ জীবনযুদ্ধে মুন্নীর মা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়। কোল আলো করে জন্ম নেয় পুত্রসন্তান। সময়টা ছিল ২০০৭ সালের ২১ জুলাই। নাম রাখা হয় সৌরভ। এটিই এখন তার সাত রাজার ধন। ওই সন্তান বুকে আগলে কোনোমতে বেঁচে আছেন তিনি। এসব কথা বলার সময় কখনও তার দু’চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছিল, কখনও তিনি ক্ষোভে ফেটে পড়ে রুদ্রমূর্তি ধারণ করছিলেন।

মুন্নী বলেন, সন্তান পেটে রেখে মাহবুব যখন মর্জিনাকে বিয়ে করে তখন তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ সময় কেউ তাকে সান্ত্বনা দেন, কেউ আবার কটাক্ষ করে বলতে থাকে, ‘আরে ছেমরি, পতিতা হয়ে স্বামী-সংসারের চিন্তা করো কেমনে? এসব চিন্তা করাও এখন পাপ।’

একপর্যায়ে মনের এই কষ্ট দূর করতে নেশার রাজ্যে গা ভাসিয়ে দেন তিনি। ফের নেমে পড়েন পতিতা পল্লীর হাতবদলের সেই চিরচেনা ব্যবসায়। এরপর ছেলের পিতৃপরিচয় নিশ্চিত করতে কয়েক দফায় আইনের আশ্রয় নেয়ার উদ্যোগও নেন। কিন্তু ওই সময় মাহবুব ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়ায় তিনি পিছু হটেন।

এভাবেই পার হয়েছে তার ৮টি বছর। কিন্তু বুকের ধন সৌরভ যখন কথা বলতে শেখে তখন সে তার বাবার কথা বারবার জানতে চায়। এ কথা বলেই হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন মুন্নী। কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রতিবেদককে বলেন, ‘তখন ছেলেকে বলেছি তোর বাবা মারা গেছে।’

আর ছেলে যখন বড় হয়ে উঠতে শুরু করে তখন পরিচিত যৌনকর্মীরা বলতে থাকে ‘ওর বাপের সঙ্গে চেহারার কত মিল। এরপর এক কান, দুই কান করতে করতে ছেলের কানেও চলে আসে সত্য খবর। তাকে আশপাশের পতিতারা সুযোগ পেলেই বলত, ‘আরে ছেরা তোর বাপ মরেনি, তুই তো অনেক বড় লোকের পোলা, গোয়ালন্দ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবই তোর বাবা।’

এসব কথা শুনে সৌরভ বারবার বলতে থাকে- ‘ও’মা মাহবুব নাকি আমার আব্বা? তুমি না বললা আব্বা মারা গেছে?’ ছেলের এমন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মুন্নী যুগান্তরকে বলেন, ‘ছেলে কিছুটা বুঝতে শিখেছে। তাই আসল পরিচয়ও জেনে গেছে। আর আমি মা হয়ে চোখের জলে কতক্ষণ এই চরম সত্য লুকিয়ে রাখব ভাই? পারিনি। একসময় আমিও ছেলের সামনে ওর বাবার পরিচয় স্বীকার করি। তবে ছেলেকে সাবধান করে বলেছি, ‘খবরদার বাবা, তুমি কখনও তোমার বাবার নাম মুখে নিবা না। কারণ সে তোমাকে মেরে ফেলতে পারে। ওদের কোনো বুকপিট নেই।’

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেল, গোলাম মাহবুব রব্বানীর গ্রামের বাড়ি ছিল দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ধোপাঘাতি গ্রামে। তার বাবা রুস্তুম আলী শেখ ছিলেন তহসিলদার। নদীভাঙনে ঘরবাড়ি বিলীন হলে গোয়ালন্দ থানাসংলগ্ন এলাকায় বাড়ি করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। আর পতিতা পল্লী থেকে চাঁদাবাজি করেই মাহবুবের ভাগ্যের চাকা পাল্টাতে থাকে। একসময় তিনি গোয়ালন্দ উপজেলা যুবলীগের সভাপতিও হন। শুধু তাই নয়, এভাবে ক্রমান্বয়ে তিনি রাজনীতিতে পদোন্নতি পেয়ে গোয়ালন্দ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতির পদটিও ভাগিয়ে নেন।

এরপর দলীয় পরিচয়ে প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় গোয়ালন্দ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নও পেয়ে যান। নির্বাচিত হয়ে প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির খাতায় নাম লেখান এই মাহবুব। তার কারণে উপজেলায় সরকারি অফিসে কোনো মহিলা কর্মকর্তা আসতে চান না। নিজস্ব ক্যাডার নিয়ে মাস্তানিও করেন। তবে একজন আওয়ামী লীগ নেতা ও জনপ্রতিনিধি হয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে গত ১৪ আগস্ট মাহবুবকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ সময় তিনি গোয়ালন্দ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক জিনাত আরা তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত প্রতিবেদনও মন্ত্রণালয়ে পাঠান।

স্থানীয় তহসিল অফিস সূত্র জানায়, গোয়ালন্দ পৌর সদরের ৮৭নং মৌজায় বেশ কয়েকটি স্থানে মূল্যবান কিছু জমিও দখল করে রেখেছেন তিনি। চরমপন্থী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ থাকায় তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কেউ অভিযোগ করতে সাহস পান না। স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী ও গোয়ালন্দ উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম নুরুল ইসলাম প্রকাশ্যে তার অপকর্মের প্রতিবাদ করায় এখন মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।

যেভাবে শত কোটি টাকা আয়
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০০ সালের দিকে দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীতে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। তখন গোয়ালন্দ আইডিয়াল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কাদের ফকির একটি মিটার নিয়ে অবৈধভাবে পতিতা পল্লীতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেন। এক মিটারেই চলত পতিতা পল্লীর ২৪১ (বর্তমানে ২৫৭ বাড়ি প্রায় ৫ হাজার ৯৩০ রুম) বাড়ির প্রায় ৪ হাজার ৩০০ কক্ষ। কাদের ফকিরের এই অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন মাহবুব। কাদের ফকির আর মাহবুব সম্পর্কে শালা-দুলাভাই। ওই সময় প্রতি মাসে যৌনকর্মীদের প্রতিটি কক্ষ থেকে একটি বাল্বের বিনিময়ে প্রতিদিন একশ’ টাকা আদায় করা হতো। এ হিসাবে শুধু একটি লাইট (বাল্ব) জ্বালানোর বিনিময়ে ৪ হাজার ৩০০ কক্ষ থেকে প্রতি মাসে এক কোটি ২৯ হাজার চাঁদা তুলতেন তিনি। সেই হিসাবে বছরে এই টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৫ কোটি ৬৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তবে ফ্যান চালানোর বিনিময়ে নেয়া হতো অতিরিক্ত আরও ২০০ টাকা। তবে কতটি ঘরে ফ্যান চালানো হতো এর কোনো হিসাব পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পতিতা পল্লীর একটি বাড়ির মালিক পারভিন বলেন, প্রতিদিন ১০০ টাকার বিনিময়ে শুধু একটি বাল্ব জালানোর সুযোগ পাওয়া যেত। কেউ যদি চুরি করে একটি ফ্যান চালাতো তাহলে যৌনকর্মীদের অমানুষিকভাবে মারধর করতেন মাহবুব। তিনি নিজেও মাহবুবের হাতে নির্যাতনের শিকার হন বলে জানান। তিনি বলেন, তখন যৌনকর্মীদের পক্ষে কথা বলার কাউকে পাওয়া যেত না। তাই বিদ্যুৎ সংযোগের বিনিময়ে বিল তুলতে গিয়ে এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতেন এই মাহবুব। পারভিন বলেন, ওই সময় মুন্নীকে বিয়ে করার কথা বলে স্বামী-স্ত্রীর মতো থাকতে শুরু করে তারা। একপর্যায়ে মুন্নীর আয়ের সব টাকাও হাতিয়ে নেয়। পারভিনের সঙ্গে কথা বলার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মাজেদা নামে পঞ্চাশোর্ধ্ব আরেকজন। তিনি যুগান্তরকে বলেন, প্রয়োজনে আদালতে গিয়ে সাক্ষ্য দেব। পতিতা পল্লীর সব মেয়েদের নিয়ে রাস্তায় নামব। তারপরও মুন্নী ও তার সন্তানের অধিকার ফিরিয়ে আনতে চাই। দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই মাহবুবের।

এদিকে যৌন পল্লীতে বিদ্যুৎ ব্যবসার কথা স্বীকার করে মাহবুবের ভগ্নিপতি গোয়ালন্দ আইডিয়াল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কাদের ফকির বলেন, ‘আমি শিক্ষকতার কারণে বিদ্যুৎ ব্যবসায় সময় দিতে পারতাম না। আমার শ্যালক মাহবুব এটা দেখাশোনা করত।’ তিনি বলেন, ২০০০ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত দৌলতদিয়ায় তার এ ব্যবসা ছিল। এরপর বিএনপি সরকার যৌন পল্লীতে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করলে তিনি এ ব্যবসা গুটিয়ে নেন।

কাদের ফকিরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বছরে প্রায় ১৬ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল তোলা হতো। এ হিসাবে চার বছরে ৬৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। অবশ্য এই টাকার ভাগ পুলিশ ছাড়াও স্থানীয় সব প্রভাবশালী মহলকে দিতে হয়েছে। আসলে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল অজুহাত মাত্র। বিদ্যুতের সংযোগ দেয়ার নামে প্রতিদিন ঘর প্রতি ১ থেকে ২শ’ করে টাকা তোলা হতো।

উল্লিখিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গোয়ালন্দ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মাহবুর রব্বানী মঙ্গলবার বলেন, ‘মুন্নীর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। তাকে আমি চিনিও না। আর দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীতে বিয়ে করা এবং সন্তান থাকার প্রশ্নই আসে না। এটা মিথ্যা কথা। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘দৌলতদিয়া পল্লীতে বিদ্যুৎ সংযোগের বিনিময়ে প্রতিদিন ৫ টাকা এবং মাসে দেড়শ’ টাকা নেয়া হতো। ওই ব্যবসাটা ছিল বৈধ। বিদ্যুৎ অফিসে টেক্সসহ যাবতীয় খরচ দিয়েই সেখানে বিদ্যুতের ব্যবসা করা হয়। আর সেটির মালিক ছিলেন আমার ভগ্নিপতি। আমি শুধু দেখাশোনা করতাম।’

এদিকে ভুক্তভোগী মুন্নী বেগম জানিয়েছেন, সৌরভের বাবা মাহবুব। এটি পাড়ার সবাই জানে। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, প্রয়োজনে ডিএনএ পরীক্ষা করা হোক। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সন্তানের পিতৃপরিচয়ের দাবিতে তিনি শিগগির আদালতে মামলা করবেন।-যুগান্তর



মন্তব্য চালু নেই