ভারতীয় ও ইউরেশীয় প্লেটের সংঘর্ষেই কম্পন অনুভূত

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমার। বুধবার সন্ধ্যায় আঘাত হানা ওই কম্পনের মাত্রা উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারে ছিল রিখটার স্কেলে ৭। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, ভারতীয় এবং ইউরেশীয় প্লেটের সংঘর্ষের ফলে এই ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এ দুই প্লেট উত্তর পূর্বাঞ্চলে পরস্পরের দিকে প্রত্যেক বছর অগ্রসর হচ্ছে। ভারতীয় প্লেটটি ইউরেশীয় প্লেটের তলায় ঢুকে যাওয়ায় এ কম্পন হয়েছে।

হিমালয়ের পাদদেশে থাকা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ অঞ্চল বরাবরই ভূমিকম্পপ্রবণ। এর আগেও কয়েকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে এই অঞ্চলে। ভূমিকম্পে দক্ষিণ এশিয়ার এই অংশে লক্ষাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল নেপালে ৭ দশমিক ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে প্রায় ৯ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ওই ভূমিকম্পের পর এখন পর্যন্ত চার শতাধিক আফটার শক অনুভূত হয়েছে দেশটিতে।

একই বছরের অক্টোবরে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। দুই দেশের শত শত ঘরবাড়ি ধসে পড়ে। প্রাণহানি ঘটে ৩৩৫ জনের। এর মধ্যে পাকিস্তানে ২৩৫ জন এবং আফগানিস্তানে ৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই