ভারতের এই গুপ্তধনগুলির খোঁজ আজও কেউ পায়নি

গুপ্তধনের সন্ধান সভ্যতার আদিকাল থেকেই এক আকর্ষণীয় ব্যাপার। সাধারাণ মানুষ কোন ছার, রাজা-রাজড়ারাও গুপ্তধনের সন্ধানে অভিযান করেছেন। পশ্চিমী দুনিয়ায় জলদস্যুদের গুপ্তধন থেকে শুরু করে ভ্যাটিকানের গুপ্ত খজানা নিয়ে যেমন লেখা হয়েছে একের পরে এক রোমাঞ্চকাহিনি, তেমনই বাস্তবে বিস্তর মানুষ সন্ধান চালিয়ে গিয়েছেন। আবহমান কালে গুপ্তধন লাভ করেছেন কতজন, তার হিসেব নিতে বসলে হতাশই হতে হয়। কিন্তু তার সন্ধানীদের সংখ্যা চিরকালই চমকে দেওয়ার মতো।

ভারতে ব্রিটিশ রাজত্ব কায়েম হওয়ার পরে এদেশের প্রাচীন সম্পদ নিয়ে তারা অনুসন্ধান শুরু করে। একদিকে যেমন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ সচেষ্ট হয় ভুলে যাওয়া অথবা গুপ্ত সম্পদের সন্ধানে, তেমনই ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেক ইংরেজ রাজপুরুষ আবার গুপ্তধনের সন্ধানে চষে ফেলতে শুরু করেন এ দেশের আনাচ-কানাচ। এই সব উদ্যোগে বেশ কিছু লুকোনো সম্পদ উদ্ধার হলেও বেশ কিছু গুপ্তধনের খোঁজ পাওয়া যায়নি বলেই জানা যায়। অথচ লোকবিশ্বাস, কিংবদন্তি জানায়, সেই সব গুপ্তধন সত্যিই রয়েছে। এখানে উল্লেখ রইল তাদেরই কয়েকটির।

• আলওয়ারের মুঘল খজানা: কিংবদন্তি থেকে জানা যায়, মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গির নির্বাসনের সময়ে দিল্লি থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরবর্তী আলওয়ার দুর্গে
আশ্রয় নেন। সেখানে তিনি নাকি বিপুল ধনসম্পদ লুকিয়ে রাখেন। এই খজানার সন্ধান কিন্তু আজও পাওয়া যায়নি।

• বিহারের সোনভাণ্ডার গুহা: কথিত আছে, এই গুহার পশ্চিম করিডর দিয়ে পৌঁছনো যেত নৃপতি বিম্বিসারের রাজকোষে। এই প্রকার ইঙ্গিতবাহী এক শিলালিপিও রয়েছে এই গুহায়। কিন্তু সেই রাজকোষের সন্ধান আজও অধরা।

• হায়দরাবাদের চারমিনার টানেল: বিখ্যাত চারমিনার ও গোলকুন্ডা দুর্গকে নাকি সংযুক্ত করত এই সুড়ঙ্গ। বিশ্বাস এই— সুলতান মহম্মদ কুলি কুতুব শাহ এই সুড়ঙ্গ নির্মাণ করিয়েছিলেন। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে এই সুড়ঙ্গ দিয়ে নিরাপদে চলে যাওয়া যেত। এই সুড়ঙ্গেরই কোথাও নাকি এক গুপ্তকক্ষ রয়েছে, যেখানে রাখা আছে কুলি কুতুব শাহের খজানা। বলাই বাহুল্য, এই কক্ষের সন্ধানও পাওয়া যায়নি।

• মান সিংহের গুপ্তধন: জয়পুরের রাজা, মুঘল সম্রাট আকবরের সেনাপতি ইতিহাস প্রসিদ্ধ মান সিংহ ১৫৮০ সালে আফগানদের পরাজিত করে তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠন করা সম্পদ নাকি আকবরকে প্রদান করেননি। এই সম্পদ জয়পুর কেল্লার কোথাও লুকোনো আছে বলে ধারণা।

• গুন্টুরে কৃষ্ণা নদীগর্ভ: একদা এই অঞ্চল গোলকুন্ডা শাহির অন্তর্ভুক্ত ছিল। বিশ্বখ্যাত গোলকুন্ডা হিরের খনিগুলিও একদা এই নদীর আশেপাশেই অবস্থান করত। অনেকেই মনে করেন, নদীর গর্ভে কোথাও হিরের এক ভাণ্ডার লুকোনো রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই