ভারতের পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে আবার গুলি

ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে বিমানবাহিনীর পাঠানকোট ঘাঁটিতে আবার গুলির শব্দ শোনা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে সেখানে আরো জঙ্গি লুকিয়ে আছে।

ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে এ সংবাদ জানা গেছে।

খবরে বলা হয়, পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলা মোকাবিলার পর সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চিরুনি অভিযান শুরু হলে ওই গুলির শব্দ শোনা যায়।

এর আগে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে ভারতের বিমানবাহিনীর পাঠানকোট ঘাঁটিতে আজ ভোর সাড়ে তিনটার দিকে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। সামরিক পোশাক পরা সন্ত্রাসীরা একটি অফিসিয়াল গাড়িতে করে ঘাঁটি এলাকায় ঢোকে এবং কাছের একটি ভবন থেকে ঘাঁটিতে হামলা চালায়। চাক্কি নদীর কাছে অবস্থিত ওই ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েক ঘণ্টা ধরে গোলাগুলি চলে। সকাল ১০টা পর্যন্ত চলা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন চার হামলাকারী ও দুজন বিমানসেনা।

ভারতের জম্মু-কাশ্মীরভিত্তিক গোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদ এই হামলা চালিয়েছে বলে সন্দেহ করছে ভারত। এই গোষ্ঠীটি পাকিস্তানের সমর্থিত। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিতীন ওয়াকাঙ্কার এএফপিকে বলেন, “আমরা নিশ্চিত পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মোহাম্মদের সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালিয়েছে।”

তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।

হামলার পর পাঠানকোট-জম্মু মহাসড়কে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিমানবাহিনীর স্টেশন এলাকায় যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ওই বিমানঘাঁটিতে হামলা হতে পারে গতকাল শুক্রবার এমন সতর্কতা দিয়েছিল ভারতীয় গোয়েন্দারা।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের সঙ্গে লাহোরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সৌজন্য সাক্ষাতের কয়েক দিন পর এ হামলা ঘটল। এটি মোদির পাকিস্তান সফরকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলল এবং ভারত-পাকিস্তানের আলোচনা ক্ষুণ্ণ করল বলে এক টুইটার বার্তায় আশঙ্কা করেন জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ।

এর আগে গত আগস্ট মাসে পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরে একটি পুলিশ স্টেশনে সশস্ত্র হামলায় সাতজন নিহত হয়। প্রায় ১২ ঘণ্টা ঘরে চলা বন্দুকযুদ্ধে তিনজন হামলাকারী নিহত হয়।



মন্তব্য চালু নেই