ভারতের ৮বছর কারাভোগ শেষে দু’বাংলাদেশীকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ

শামীম রেজা, জেলা প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা : ভারতের ৮বছর কারাভোগ শেষে দু’বাংলাদেশীকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে সোমবার দুপুরে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। এদিন দুপুর ১২ টায় দর্শনা সীমান্তের ৭৬ নম্বর মেইন পিলারের কাছে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদেরকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। এর আগে এদেরকে বহরমপুর সেফহোম থেকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গাড়ীতে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে নিয়ে আসা হয়। দর্শনা সীমান্তে হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিবির দর্শনা

কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার রবিউল ইসলাম, বিজিবি নীমতলা ক্যাম্প ইনচার্জ নায়েব সুবেদার বারেক, দর্শনা আইসিপি ইনচার্জ হাবিলদার মীর্জা ওয়াজেদ, দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই সুব্রত, দর্শনা ইমিগ্রেশন অফিসার নাজমুল, বিএসএফ’র গেদে কোম্পানী কমান্ডার এসি তারা দত্ত, গেদে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আর কে সিনহা। সীমান্তে হস্তান্তরের পর তাদের দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে বিজিবি। থানা পুলিশ তাদের নিজ ঠিকানায় পৌছে দেবে।

দেশে ফিরে আসা দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার শংকরপুর গ্রামের দিনেশ চৌধুরী রায়ের ছেলে হৃদয় (১৭) ও চায়না (১৮) জানায় ২০০৭ সালের ৫ মে ভোরে দিনাজপুরের রাধিকাপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে মায়ের সঙ্গে ভারতে যাচ্ছিল দু’ভাই বোন। বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে ভারতে গেলে বিএসএফ’র কাছে ধরা পড়ে তারা। এরপর ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাদের ৭ বছর জেল হয়। মা ভাদুরী বালা রায় ভারতের বহরমপুর সেন্ট্রাল জেলে আর নাবালক হৃদয় ও চায়নার ঠাঁই হয় বহরমপুররের সি লায়ন ও আনন্দ আশ্রম সেফহোমে। এখানে সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ায় দর্শনা সীমান্ত দিয়ে তাদের হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। তবে হৃদয় ও চায়না দেশে আপন ঠিকানায় ফিরলেও তাদের মা ভাদুরী বালা রায় এখনও ভারতের বহরমপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দী রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই