ভারতে পাক-সেনা অভিযান ভেস্তে দিয়েছিলেন বেনজির

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হয়েছে বেশ কয়েক বার। ১৯৯৯ সালে ফের ভারতে সামরিক অভিযান শুরুর পরিকল্পনা করেছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক কর্মকর্তারা।

কিন্তু দেশটির তখনকার প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো পাক সেনাবাহিনীর ভারত-অভিযানের পরিকল্পনার বিরোধিতা করলে তা ভেস্তে যায়।

সম্প্রতি প্রকাশিত ভারতের প্রাক্তন এক কূটনীতিকের লেখা বইয়ে এমন তথ্য ওঠে এসেছে।

‘হোয়ার বর্ডারস ব্লিড: অ্যান ইনসাইডার’স অ্যাকাউন্ট অব ইন্দো-পাক রিলেশনস’-বইটি লেখেন ১৯৯২ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত করাচিতে নিযুক্ত ভারতের কনস্যুলার জেনারেল রাজীব দর্গা। ওই সময় দুদেশের বিতর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে ওপর আয়োজিত সভায় উপস্থিতও ছিলেন তিনি।

দুদেশের মধ্যকার ৭০ বছরের ঐতিহাসিক, কূটনৈতিক ও সামরিক পেক্ষাপটের বিষয়গুলো বইতে তুলে আনা হয়েছে।

পশ্চিমা শিক্ষায় শিক্ষিত বেনজিরকে উদার হিসেবে উল্লেখ করে রাজীব লেখেন, ‘এটা সত্যি যে, তিনি নিম্ন পর্যায়ের গোয়েন্দা গসিপের মাধ্যমে ভারতে ফের সামরিক অভিযানের তথ্য পেয়েছিলেন। কিন্তু এটাও সত্যি ছিল যে, একটি অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন। এর মাধ্যমে কারগিল যুদ্ধের মতো আরেকটি অভিযান বন্ধ করা সম্ভব হয়েছিল।’

বেনজিরের দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারকে উদ্ধৃতি করে দর্গা বলেন, ‘তৎকালীন ডিরেক্টর জেনারেল অব মেলেটারি অপারেশনের (ডিজিএমও) প্রধান মেজর জেনারেল পারভেজ মোশাররফ ভারত অভিযানের পরিকল্পনা ভেস্তে দেন তিনি।

কাশ্মীরের শ্রীনগর দখল ও যুদ্ধে জেতার একটি পরিকল্পনা বেনজির ভুট্টোর কাছে মোশাররফ পেশ করলে তিনি তাকে বলেন, না জেনারেল, আমি বলছি, তারা (ভারত) শ্রীনগর থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করবে। শুধু শ্রীনগরই নয়, আজাদ কাশ্মীর থেকেও তারা নিজেদের প্রত্যাহার করে নেবে। কারণ জাতিসংঘ নীতিমালার প্রথম পূর্বশর্ত হলো- আজাদ কাশ্মীর থেকে আমাদের (উভয় দেশের সেনাদের) প্রত্যাহার করে নিয়ে- সেখানে গণভোটের ব্যবস্থা করতে হবে।’

তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।



মন্তব্য চালু নেই