ভালবাসার সম্পর্ককে করুন আরও রোমান্টিক!

প্রিয়জনের কাছ থেকে মনোযোগ পেতে ভাল লাগে আমাদের সবারই। একটু বাড়তি যত্ন, বাড়তি খোঁজ খবর নেওয়া, জানা থাকা অনেক কথা আবার জানা, নতুন করে বার বার শোনা ‘ভালবাসি’ শব্দটা সবই সম্পর্ককে করে আরও ঘনিষ্ঠ, আরও রোমান্টিক।

ভালবাসার সম্পর্কে রোমান্টিকতা ধরে রাখা খুবই জরুরী। ব্যস্ততার ফাঁকে বিশেষ সম্পর্কগুলো আটপৌরে শাড়ির মত ফ্যাকাসে হয়ে যেতে সময় লাগে না। এতে রং দিতে হয় আমাদেরই। কখনো কখনো সচেতনভাবেই। সম্পর্কে রোমান্টিকতা ধরে রাখতে করুন এই কাজগুলো-

সারপ্রাইজ দিন
আপনার কাছে যতই ছেলেমানুষী লাগুক, সম্পর্কে সারপ্রাইজ কিন্তু খুবই জরুরি। আপনি এমনভাবে আপনার সঙ্গীর জন্য কিছু আয়োজন করছেন যার সম্পর্কে তার কোন ধারণাই নেই। আপনি তাঁকে উপহার দিয়ে অবাক করে দিলেন। কিন্তু আপনার উপহারের চাইতেও তাকে আনন্দ দেবে তাঁকে নিয়ে এই যে আপনি ভেবেছেন, শুধু তার জন্যেই করেছেন- এই চিন্তা!

‘লাভ নোট’ লিখুন
হ্যা, সিনেমায় দেখেছেন স্ত্রী অফিসের জন্য বেড়িয়ে যাবার সময় কিছু একটা লিখে লাগিয়ে রেখে যাচ্ছে এমন জায়গায় যাতে তার সঙ্গী উঠলেই দেখতে পান। আবার কোথাও প্রেমিক লিখে যাচ্ছেন প্রেমিকার জন্য, মনে করিয়ে দিচ্ছেন সময়মত ঔষধ খাওয়ার কথা। অথবা হয়ত লিখেছেন শধু ৪ লাইনের ছোট্ট কবিতা। এই ছোট ছোট মনোযোগ আপনার সম্পর্ককে দিতে পারে ভিন্ন মাত্রা।

প্রতিটি রাতকেই করুন ‘ডেট নাইট’
প্রতি রাতেই স্পেশাল রান্না করা তো আর সম্ভব নয়। আবার রেস্টুরেন্টে যাওয়াও সম্ভব নয়। এর মাঝেই করার চেষ্টা করুন বিশেষ কিছু। একসাথে রান্না করুন। কোন একটা খাবার, হোক সাধারণ তবু যোগ করুন শুধু তারই জন্য। ডাইনিং এ পরিবেশন করুন যত্নের সাথে।

শুধু কথায় নয় কাজেও প্রকাশ করুন ভালবাসা
হাতে ভারি ব্যাগ থাকলে ব্যাগ নেওয়ার ক্ষেত্রে দুজনে ভাগ করে নিন। সঙ্গীকে বিমানে জানালার পাশে বসতে দিন। মোট কথা, তার প্রয়োজন, সুবিধা-অসুবিধা খেয়াল করুন। তার কাজে সহযোগিতা করুন। সঙ্গীর প্যাশনকে সিরিয়াসলি দেখুন।

সঙ্গীর জন্য সময় বের করুন
জানি, ব্যস্ততা আমাদের দেয় না অবসর। তবু সঙ্গীর জন্য একটু সময় বের করুন। অফিস কাছাকাছি হলে একদিন দুপুরে একসাথে বাইরে খেতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত একদিন আগে বাসায় চলে এলেন, নিয়ে এলেন এক গুচ্ছ ফুল বা একটা ছোট্ট চকোলেট।

দিনগুলো মনে রাখুন
বিশেষ দিনগুলো ভুলে যাবেন না। মনে রাখুন। ছোট ছোট সারপ্রাইজের সাথে উৎযাপন করুন দিনগুলো। সারপ্রাইজ মানেই বড় কিছু নয়, অনেক খরচ করতে হবে এমন নয়। সাধারণভাবে করুন। যে আপনাকে ভালবাসে তার শুধু আপনাকেই প্রয়োজন, দামী উপহার নয়।

নিজের হাতে কিছু তৈরি করুন
উপহার দিব নিজের হাতে তৈরি কোন কিছু। হোক সেটা ছোট্ট কোন কার্ড, আনাড়ি কোন ব্যাগ বা কম স্বাদের কোন কেক। নিজের হাতে করুন। ভালবাসার সাথে যত্ন মিশে গেলে তা অসুন্দর হয় না কখনো। বরং আরও চমৎকার হয়।

বেড়াতে যান
দুজনে একসাথে বেড়াতে যান। শুধু নিজেদের সময় দিন। দূরে ভ্রমণে যেতে না পারলেও কাছাকাছি বেড়িয়ে আসুন। পরিবার, বন্ধুবান্ধবের সাথে সময় কাটানো যেমন জরুরি তেমনি ভালবাসার সম্পর্কে নিজেদের মধ্যে কিছুটা হলেও সময় কাটানো খুব জরুরি। বছরে একবার অন্তত দূরে কোথাও ঘুরে আসুন।

স্মৃতিগুলো যত্নে রাখুন
নিজেদের সুন্দর সময়কে ধরে রাখুন, বন্দী করুন ক্যামেরায়। মাঝে স্মৃতির পাতা উল্টে সেগুলোকে নিয়ে আসুন চোখের সামনে। ঘরে টাঙ্গিয়ে রাখা ফ্রেমের ছবি বদলান, নিজেরাও স্মৃতিচারণ করুন। সঙ্গীকে বুঝিয়ে দিন, তার সাথে কাটানো সেই মূহুর্তগুলো আপনার কাছে কত স্পেশাল।

দুশ্চিন্তায় কাঁধে হাত রাখুন
আপনার সঙ্গীর যে কোন সমস্যাকে সিরিয়াসলি দেখুন। আপনি যদি সমাধান করতে নাও পারেন তবু চেষ্টা করুন মানসিকভাবে তার পাশে থাকতে।

ভাল বোঝাপড়া
সব শেষে, ভাল বোঝাপড়ার কোন বিকল্প নেই। আপনার সঙ্গীর মনের অবস্থা জানুন, মানুষটিকে জানুন। ভালবাসা কোন সম্পত্তি নয়। তাই তাঁকে একজন ব্যক্তি হিসেবে বোঝার চেষ্টা করুন। প্রেমিক/প্রেমিকা হিসেবে নয়। তার পছন্দ বুঝে তার জন্য সারপ্রাইজ প্ল্যান করুন। নচেৎ, জন্মদিনের কেক কেন ভ্যানিলা ফ্লেভারের, চকোলেট ফ্লেভারের নয়, এই মান-অভিমানে ভেস্তে যাবে সমস্ত আয়োজন।



মন্তব্য চালু নেই