ভিআইপি কেবিন ছাড়লেন তারেক, বিল দেড় লাখ টাকা

বুকের ব্যথার অজুহাতে দীর্ঘ পাঁচ মাসেরও বেশি সময় হাসপাতালের ভিআইপি কেবিনে কাটিয়ে কারাগারে ফিরলেন নারায়ণগঞ্জে সাত খুন মামলার অন্যতম আসামি র‌্যাবের সাবেক কর্মকর্তা তারেক সাঈদ।

শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে তিনি সর্বমোট ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা বিল পরিশোধ করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ত্যাগ করেন। তথ্যটি নিশ্চিত করেন ঢামেকে ডিউটিরত পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) এসআই গোবিন্দ।

তিনি জানান, তারেক সাঈদকে ঢামেক থেকে কারারক্ষী জাকারিয়া প্রিজন ভ্যানে করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যান।

এর আগে, কারা কর্তৃপক্ষের কাছে বুকে ব্যথার কথা জানিয়ে চলতি বছরের গত ৩ জানুয়ারি ঢামেকের পুরাতন ভবনের ৫২ নম্বর কেবিনে ভর্তি হন তাকের সাঈদ। দিন পনেরো পরেই তিনি চলে যান ৪৩ নম্বর ভিআইপি কেবিনে।

ওই সময় একাধিক গণমাধ্যম চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে খবর দেয়, তারেক সাঈদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো গুরুতর কোনো সমস্যা নেই। তার বুকে ব্যথা কিন্তু একাধিক চিকিৎসক বলে কোমরে ব্যথা। ফিজিওথরাপি নিচ্ছেন তিনি। এমনকি কারাবিধি লঙ্ঘন করে কেবিনে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন তারেক।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৩০ এপ্রিল ছয়জনের ও ১ মে অপর একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তদন্তে এই হত্যার সঙ্গে র‌্যাব ১১-এর তৎকালীন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ ও আরও কয়েকজন কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি উঠে আসে। ওই ঘটনার পর তিনি গ্রেপ্তার হন এবং সেনাবাহিনী থেকে চাকরি হারান। এই মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি তারেক সাঈদ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাতা।



মন্তব্য চালু নেই