ভিক্ষার টাকা জমিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দান করে দিলেন পচাত্তর বছরের বৃদ্ধ

বয়স পচাত্তর। এখন দিন কাটে ভিক্ষে করে। টানা পয়তাল্লিশ বছর রিকশা টেনেছেন। শরীর ভাঙতে শুরু করার পর পেট চালাতে মাধুকরীকেই বেছে নেন তিনি। বিজয়ওয়াড়া শহরের কোড়ান্ডা রামালয়ম মন্দিরের সামনে ভিক্ষে করেন ইয়াদি রেড্ডি। পুণ্যার্থীদের দয়ায় যেটুকু জোটে, তাতে দিন চলে যায়। তারপরেও পড়ে থাকে কিছু। তিলতিল করে তা জমিয়েই চমক দিলেন ইয়াদি।

পচাত্তর বছরের বৃদ্ধ। মন্দিরের সামনে বসে ভিক্ষা করেন। ভিক্ষার টাকা জমিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দান করে দিলেন মন্দিরকেই। দেবতাকে সাজিয়ে দিলেন রুপোর অলঙ্কারে। বিজয়ওয়াড়ার বিস্ময় ইয়াদি রেড্ডি।

“ঈশ্বরের কাছ থেকে পাওয়া ধন ঈশ্বরকেই ফিরিয়ে দিতে হয়। ভরণ-পোষণের জন্য যতটুকু লাগে ব্যস ততটুকুই। বাকিটা ঈশ্বরকে ফিরিয়ে দেওয়াই আমার কর্তব্য।”, শ্রীঅরবিন্দের এই বাণী বিজয়ওড়ারার ইয়াদি রেড্ডি শুনেছেন কিনা জানা নেই। কিন্তু ভিক্ষার ধন সম্বল করে তিনি যা করেছেন, তাতে অনিবার্য ভাবে মনে চলে আসে এই ঋষি বিপ্লবীর কথা।

মন্দিরের সামনে ভিক্ষে করে মন্দিরকেই ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দান। আজব কীর্তি ছাড়া কী বলবেন! এই যে তিন তিনটে রুপোর মুকুট, এ হল ইয়েদির দান। বিজয়ওয়াড়ার রামালয়ম মন্দিরে তা ঘটা করে পরানো হল রাম, লক্ষ্মণ ও সীতাকে।

পচাত্তরের দানী বৃদ্ধকে সঙ্গে নিয়েই হল দেব বিগ্রহের অঙ্গরাগ। দেবতাকে মোহন সাজে সাজাতে ৭০ হাজার টাকা দান করেছেন ইয়াদি। মন্দির কমিটিকে শুধু অর্থ সাহায্যই দিয়েছেন ৫০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে ১ লাখ ২০।

ভাবতে পারেন! যাঁর দানে ভগবান সাজলেন, তিনি কিন্তু ক্যামেরার সামনে একটা কথাও বলেননি। শুধু দানের কথা জিজ্ঞেস করলেই থামিয়ে দেন ইয়েদি। বলেন, ঈশ্বরকে দান হয় না। যা তিনি দিয়েছেন, তা হল তাঁর প্রণামী। সেটাই তাঁর কৃতজ্ঞতা।-সংবাদ প্রতিদিন



মন্তব্য চালু নেই