ভিডিও কনফারেন্সে সমস্যা, প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন: কি হইল?

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ত্রিপুরা থেকে ১শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি ও ত্রিপুরায় ১০ জিপিবিএস ব্যান্ডউইথ রফতানির আনুষ্ঠা‌নিক উদ্ভোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এ ব্যাপারে বুধবার সকালে শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সে কথা হয়। ২জনের মধ্যে কথোপকথন শেষে ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের সাথে ভিডিও কনফারেন্স করেন প্রধানমন্ত্রী। ২জনের কথা চলাকালীন সময়ে হঠাত করেই ভিডিও কনফারেন্সে সমস্যা দেখা যায়। এতে ২০ সেকেন্ডের মত বন্ধ থাকে ভিডিও কনফারেন্স।

ঠিক সে সময়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে উঠলেন, ‘কি হইলো?’ এর পরেই অবশ্য আবারো ভিডিও কনফারেন্স চালু হয় এবং ২জনের মধ্যে কথা হয়।
এসময় প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধের সময় ভারত সরকারের অবদানের কথা তুলে ধরে মানিক সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং তার খোঁজ-খবর নেন। এরপর মানিক সরকার একটি প্রকল্প উদ্ভোধন করতে প্রধানমন্ত্রীকে ভারতে আসার জন্য কয়েকদিন পর আমন্ত্রন জানাবেন বলে জানান।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভারত থেকে ইতোমধ্যে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়েছে। আরও ৫০০ কোটি মেগাওয়াট আমদানি করা হবে। এছাড়া বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে রামপালে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।

তিনি বলেন, দুই দেশের আঞ্চলিক যোগাযোগ উভয় দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে। দ্বিপাক্ষীয় সহযোগিতায় উভয় পক্ষ লাভবান হবে। এসময় তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও সে দেশের জনগনকে হোলি উৎসবের শুভেচ্ছা জানান।

উল্লেখ্য, ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে বাংলাদেশ অংশে ২৭.৮ কিমি ও ভারতে অংশে ২৪ কিমি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এ লাইন দিয়ে ত্রিপুরার পালাটানা গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনা হবে। লাইনটি বাংলাদেশে কুমিল্লার কসবা দিয়ে প্রবেশ করেছে। সব মিলিয়ে গ্রিড লাইন‌টির মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৫২ কি‌লো‌মিটার।



মন্তব্য চালু নেই