ভিন্ন দেশের দুজন, বিধাতার আশ্চর্য সৃষ্টি

এ পৃথিবীতে মহান সৃষ্টিকর্তার অনেক রকম আশ্চর্য সৃষ্টি রয়েছে। তবে আরো নতুন নতুন কিছু বিষয় পাওয়া যায় যা দেখে আশ্চর্য হওয়ার পাশাপাশি বিধাতার মহত্ব প্রকাশ পায়। এমন কিছু ঘটনা আমাদের সামনে দেখা যায় যা মনে দাগ কেটে যায়। এমনই এক আশ্চর্য ঘটনা হলো আয়ারল্যান্ড ও সুইডেনের দুই তরুণীর অসম্ভব মিল।

দু’জনের দেশ আলাদা, আলাদা সংস্কৃতি আলাদা তাদের মা-বাবাও। কিন্তু তাদের চেহারায় এতটা মিল যে দু’জনকে আলাদা করা প্রায় অসম্ভব। এমনকি তাদের এক বাবা তার মেয়ে কোনজন তা চিহ্নিত করতে পারেননি!

এই দুই নারী হলেন আয়ার‍ল্যান্ডের কেরি কাউন্টির শ্যানন লোনারগ্যান এবং সুইডেনের সারা নর্ডস্ট্রম। একজনের বয়স ২১, অন্যজনের ১৭। এই দুই তরুণীর ক্ষেত্রে আজব ঘটনা ঘটেছে। শ্যানন ও সারা অনলাইনে প্রথম পরিচিত হন। পরে ডাবলিনে দেখা করতে গিয়ে দুজনেই চমকে যান। তাদের চুল, মুখের গঠন থেকে শুরু করে সবকিছুই হুবহু একই রকম।

শ্যানন বলেন, দরজা খুলেই আমি যখন দেখি সারা দাঁড়িয়ে আছে, তখন যেন আমার হৃদপিণ্ড লাফ দিয়ে যেন মুখে উঠে এসেছিল! আমার আত্মা যেন উধাও হয়ে গিয়েছিল। আমাদের প্রকাশভঙ্গি, ঠোঁট বাঁকানো, হাসি সবই হুবহু একই রকম। এটা খুবই ভুতুড়ে ব্যাপার।

জানা গেছে, শ্যানন বাণিজ্য বিভাগে পড়াশোনা করছেন। গত গ্রীষ্মে তিনি একটি ‘জমজ আগন্তুক’ বিষয়ের একটি ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করেন। এরপর থেকে নিয়মিত তিনি খোঁজ রাখছিলেন নিজের মতো কারো দেখা তিনি পান কি না। আর সারা ওই সাইটে নিবন্ধন করেন গত মাসে। এরপর দু-একবার সার্চ দিতেই মিলে যায় শ্যাননের ছবি। পরে তারা ডাবলিনে দেখা করেন।

সারা বলেন, আমি যখন বিমানে করে আয়ারল্যান্ড যাচ্ছিলাম, তখন খুবই নার্ভাস ছিলাম। আমার ভয় ছিল, শ্যানন আর আমি হয়তো বাস্তবে একইরকম দেখতে হবো না। কিন্তু পরে যা দেখলাম তাতে আমার চক্ষু চড়কগাছ। একদম হুবহু আমার মতোই আরেকজন। মনে হচ্ছে আমার সামনে আমার প্রতিবিম্ব দেখতে পাচ্ছি। আমার কাছে স্বপ্নের মত মনে হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই