ভিন গ্রহের প্রাণীরা সূর্যকে নিয়ন্ত্রণ করছে !

মহাজাগতে অস্পষ্ট উড়ন্ত বস্তু বা আনডিফাইনড ফ্লাইং অবজেক্ট (ইউএফও) পর্যবেক্ষণকারীদের একটি দল সম্প্রতি দাবি করছে, তারা এমন কতগুলো মহাকাশ যানকে চিহ্নিত করেছে, যেগুলো আমাদের সূর্যকে ঘিরে প্রদক্ষিণ করছে। তারা এমনও দারি করছেন, যা শুনতে কিছুটা আজবও মনে হতে পারে। তারা বলছেন, ভিন গ্রহের প্রাণীরা আমাদের সূর্যকে নিয়ন্ত্রণ করছে! এই বিষয়ে তাদের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের ট্যাবলয়েড পত্রিকা ডেইলি মেইল।

সূর্যের আলো ও তাপ আমাদের পৃথিবীকে বাঁচিয়ে রাখে। একদল মঙ্গলগ্রহ গবেষক দাবি করেছেন, এসব ইউএফও সম্ভবত সূর্যের আলো কতখানি পৃথিবীতে আসবে তা নিয়ন্ত্রণ করছে।

সোলার হেলুসফেরিক অবজারভেটরির মাধ্যমে ধারণকৃত এই দৃশ্যে দেখা যাচ্ছে, একাধিক উজ্জ্বল যান সূর্যের কক্ষপথের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, তারা সম্ভবত কোনো দুষ্প্রাপ্য ও মূল্যবান কোনো জিনিসের চাষাবাদ করছে। ৬ থেকে ৭ বছর আগে রাশিয়ার মহাকাশ বিজ্ঞানীরাও এমনি ভিন্ন গ্রহের মহাকাশ যান দেখার দাবি করেন, যেটা পরে ইন্টারনেট থেকে মুছে ফেলা হয়।

মুনহুয়াজেন নামের একজন মহাকাশ গবেষক দাবি করেন, লুকোচুরি না করে নাসার উচিত ওখানে ঠিক কী ঘটছে তা বিশ্ববাসীকে জানানো। তিনি তার ইউটিউব লিংকে ভিডিওটি প্রকাশ করেন-

এই লিংকটি সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়, যাতে দেখা যাছে ছোট ছোট সবুজ কিছু জিনিস সূর্যের উজ্জ্বল বলয়ের বাইরে ভেসে বেড়াচ্ছে।

ইউএফও সাইটিং ওয়েবসাইটে স্কট সি ওয়ারিং নামের আরেকজন দাবি করেন, ৬/৭ বছর আগে আমি খবরে পড়েছিলাম, ‘দুজন রাশিয়ান বিজ্ঞানী সূর্যের পাশে ঘূর্ণনরত কয়েকটি যান দেখতে পেয়েছেন, যেগুলো দিনে ২৪ ঘণ্টা, সপ্তাহে সাত দিন সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। এই যানগুলো অন্য কোনো গ্রহ থেকে এসেছে এবং এখানে কী করছে তা একমাত্র ঈশ্বরই জানেন।’

ওয়ারিং আরো বলে, ‘এই যানগুলো নিজে নিজেই তাদের গতি কমাতে বা বাড়াতে পারে এবং কোনো গতি না কমিয়েই তাৎক্ষণিকভাবে ৯০ ডিগ্রি বাঁক নিতে সক্ষম। এই বৈশিষ্ট্যগুলো দেখে এবং যেভাবে তারা প্রতিমূহূর্তে মহাকাশ যান পাঠাচ্ছে তা দেখে বোঝা যায়, প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে তারা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত।’ কিন্তু রাশিয়ার বিজ্ঞানীদের খবরটিকে ইন্টারনেট থেকে রহস্যজনকভাবে সরিয়ে ফেলা হয়।

অন্যদিকে বৃহস্পতির উপগ্রহ ইউরোপীয়াকে ঘিরেও প্রদক্ষিণ করতে দেখা গেছে আরেকটি মহাকাশ যানকে–

বিশেষ নিরাপত্তা দলের সদস্য, টেইলর তার পুরো নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এখানে দেখা যাচ্ছে, এই যানটি অন্য ধরনের জেনেরিকের একটি যান এবং এটি কাছাকাছি কোনো মাদার শিপ থেকে পাঠানো হয়েছে। এই আবিষ্কার নিঃসন্দেহে একটি বিরাট বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার এবং এলিয়েনের অস্তিত্বকে আমাদের সামনে প্রকাশ করছে।

অন্যদিকে, নাসার প্রাক্তন ভিডিও ও গ্রাফিক্স সমন্বয়কারী ডোনা হেয়ার দাবি করেন, নাসার প্রথম চন্দ্র অভিযানের সময় তিনটি ভিনগ্রহের মহাকাশযানকে দেখা যায়, যা নাসা পৃথিবীবাসীর কাছ থেকে গোপন করেছে। যেটাকে নাসা নাম দিয়েছিল সান্তা ক্লজ প্রজেক্ট নামে।



মন্তব্য চালু নেই