ভুলের দায় কার? নিয়ত করেও হজে যাওয়া হবে না ৫১ হাজার মুসল্লির

চলতি বছর পবিত্র হজ পালনের নিয়ত করে প্রাক নিবন্ধনের জন্য টাকা জমা দিলেও হজে যেতে পারবেন না ৫১ হাজারেরও বেশি মুসল্লি। গত ১৯ মার্চ থেকে চলতি বছরের প্রাক নিবন্ধন শুরু হয়।

সর্বশেষ ১ মার্চ পর্যন্ত মোট প্রাক নিবন্ধনকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৯২। এর মধ্যে ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালের জন্য প্রাক নিবন্ধিত রয়েছেন ৩৭ হাজার ৪৯৪ জন। ২৫ ব্যাংকের ৪৮৭টি শাখার মাধ্যমে মোট ১ হাজার ৯৭টি হজ এজেন্সি এ প্রাক নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করে।

সম্প্রতি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সৌদি সরকারের হজ চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছর পবিত্র হজ পালনে মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ মুসল্লি সৌদি আরব যাওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা নির্ধারিত রয়েছে।

১ মার্চ পর্যন্ত হিসাব অনুসারে ৫১ হাজার ৯৪ জন অতিরিক্ত সংখ্যক মুসল্লি প্রাক নিবন্ধন করেছেন। ইতোমধ্যে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) পক্ষ থেকে অনলাইনে প্রাক নিবন্ধনের প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাদের অভিযোগ প্রাক নিবন্ধনে কিছুসংখ্যক ব্যাংকের ভুলের কারণে বহু মুসল্লির সিরিয়াল পিছিয়ে গেছে।

প্রাক নিবন্ধনের জন্য কোনো কোনো এজেন্সি ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে দীর্ঘ ৫ ঘণ্টায়ও অনুমোদন পায়নি আবার কোনো কোনো এজেন্সি ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার এক মিনিটেই অনুমোদন পেয়েছে। যথা সময়ে টাকা জমা দিলেও বিলম্বে অনুমোদন পাওয়ার ফলে সিরিয়ালের পেছনে পড়ে যাওয়ায় হাজার হাজার হজ গমনেচ্ছুর হজ পালনে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। তারা সমস্যা সমাধানে মন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছেন। মন্ত্রীও প্রাক নিবন্ধনে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়েছে কি না তা বাইরের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

নাম না প্রকাশের শর্তে একাধিক হজ এজেন্সির মালিক জানান, হাজার হাজার মানুষ হজের নিয়ত করে সময় মতো প্রাক নিবন্ধন সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় সব অর্থ আগাম জমা দিয়েছে। কেউ কেউ ইতোমধ্যে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের কাছে হজে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন। এখন প্রাক নিবন্ধনে ব্যাংক কর্মকর্তা কিংবা সার্ভার জটিলতার জন্য তারা হজে যেতে পারবেন না এমন প্রশ্ন রাখেন।



মন্তব্য চালু নেই